গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কথা স্বীকার করে যা বললেন মমতাজ

টাকা নিয়ে অনুষ্ঠান করতে না আসায় বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় বাংলাদেশের লোকগানের জনপ্রিয় শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত। এ নিয়ে ১৫ বছর আগের করা মামলায় চতুর্থবারের মতো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় এই কন্ঠশিল্পীর বিরুদ্ধে।   

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি স্বীকার করে মমতাজ বেগম বলছেন, সেটা মিথ্যা ও বানোয়াট। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তার বিরুদ্ধে এটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন এই শিল্পী। আজ বুধবার বিকেলে মমতাজ বেগম তার ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের আদালতে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মমতাজ বলেন, কয়দিন যাবত আমাকে নিয়ে একটি নিউজ হয়েছে এবং এটার সত্যতা কতটুকু জানতে চাচ্ছেন শুভাকাংক্ষীরা। হ্যাঁ এই কথা সত্য যে বেশ কয়েক বছর আগে ভারতে বহরমপুর কোর্টে আমার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি একটা মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়। যার মূল উদ্দেশ্যে ছিলো আমাকে ভয় দেখিয়ে কিছু টাকা হাতিয়ে নেয়া। আর ওই ব্যক্তি ছাড়া আমি যেন কারও মাধ্যমে ভারতে কোনো কনসার্ট করতে না পারি।

তিনি বলেন, কোনও ডকুমেন্ট ছাড়া ১৪ লাখ টাকা নেয়ার একটি মিথ্যা মামলা তিনি (মামলার বাদি) সাজিয়েছেন যার কোনও প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে কোর্টে দাখিল করতে পারেনি। এবছর আমি ২ বার কোর্টে হাজির হলেও দুঃখের বিষয় মামলার বাদি ২ বারই অসুস্থ বলে কোর্টে অনুপস্থিত থাকেন। তার মূল উদ্দেশ্যে হলো আমাকে হয়রানি করা। 

“আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দ্রুত এই মামলাটি যাতে শেষ হয় বিজ্ঞ আদালত কে অনুরোধ করি, কিন্তু আদালত শেষ যে তারিখটি দিয়ে ছিলো ওই সময় আমার আগে থেকে কানাডা একটা প্রোগ্রাম নেয়া ছিলো বিধায় আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি। তবে আমি আদালতকে এই বিষয় অবহিত করি এবং পরবর্তীতে একটা সময় চাইলে বিজ্ঞ আদালত সেটা গ্রহণ করে আমাকে সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখ পুনরায় ডেট দেন। আশা করি আমি সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত একটা সিদ্ধান্ত নিবেন এবং পরবর্তী কি করণীয় তা জানতে পারবো।”

শুভাকাংক্ষীদের উদ্দেশ্যে মমতাজ আরও বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আপনারা সবাই আমার উপর আল্লাহর ওয়াস্তে এই আস্থা বিশ্বাস রাখবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেনো কারও ক্ষতি না করি।