উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ছিলো বিবিএ গ্র্যাজুয়েট তাসনিয়া ফারিণের

তাসনিয়া ফারিণ
তাসনিয়া ফারিণ  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন বিবিএতে তার মেজর বিষয় ছিল মার্কেটিং। সেই সুবাদে একসময় ভেবেছেন উদ্যোক্তা হবেন। তবে এখন শোবিজ ঘিরেই তার পরিকল্পনা।

তিনি বলেন, যেহেতু মার্কেটিং মেজর ছিল, আমার ইচ্ছে ছিল উদ্যোক্তা হওয়ার। তবে এখন নিজেকেই একটি ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টায় আছি। আসলে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা প্রত্যেকে মূলত নিজেকেই প্রচার করি। তো সেই হিসেবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নয়, বর্তমানেই সেটি নিয়ে আমি কাজ করছি।

এর আগে গতকাল বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন থেকে ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী হিসেবে গ্র্যাজুয়েশন সনদ পান তিনি।

সমাবর্তন নিয়ে তাসনিয়া ফারিণ বলেন, গাউন-হ্যাট পরে উল্লাস করার সব শিক্ষার্থীরই থাকে। এই অনুভূতি অবশ্যই খুব ভালো। সমাবর্তন আরও অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে দেরি হলো। ২০১৯ সালেই আমার স্নাতক শেষ হয়েছিল, অবশেষে ২৩-এ এসে সমাবর্তন পেলাম। এখন মনে হচ্ছে, ফাইনালি গ্র্যাজুয়েট হলাম।

আরও পড়ুন: মডেল ও অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ এখন গ্র্যাজুয়েট

প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক, সব ধাপেই ঈর্ষণীয় সাফল্য ছিলো ফারিণের। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজে বরাবরই বাবা-মা যা চেয়েছেন, সেই রেজাল্টই উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ক্লাস ফাইভে টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলাম। এসএসসি, এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়েছি। এরপর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও চান্স পেয়েছি। সিজিপিএ বেশ ভালো ছিলো।

গেল মাসের ৩০ জানুয়ারি ২৬তম জন্মদিন ছিলো এই অভিনেত্রীর। ২০১৭ সালে মায়ের ইচ্ছায় অভিনয় জগতে আসেন তিনি। ‘আমরা আবার ফিরবো কবে’ এই নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় তার অভিষেক হয়। তিনি ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’ নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই অভিনেত্রীকে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকদের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এরপর অসংখ্য নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন ফারিণ। অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশুনাতেও বেশ মনোযোগী তিনি।

১৯৯৭ সালে ৩০ জানুয়ারি খুলনার মেহেরপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এই অভিনেত্রী। তবে বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে কক্সবাজার, চিটাগাং, পাবনাতেও থেকেছেন তিনি। শিক্ষাজীবনে তিনি হলিক্রস স্কুল, কলেজে ও পরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি হয়ে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।