১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:৩৩

বাবা–মায়ের মৃত্যু যেভাবে শাহরুখ খানকে গড়ে তোলে সুপারস্টার হিসেবে

শাহরুখ খান  © ফাইল ছবি

মিডিয়ায় তিনি পরিচিত বলিউড বাদশাহ্, বলিউড কিং বা কিং খান হিসেবে। তিনি শাহরুখ খান। একদিনে তিনি ‘কিং’ হয়ে ওঠেননি; এর পেছনে রয়েছে জীবনের কঠিন বাস্তবতা আর ত্যাগের গল্প। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাবাকে এবং ২৪ বছর বয়সে মাকে হারান শাহরুখ। অল্প বয়সেই বাবা-মায়ের এই অকাল মৃত্যু তাঁর জীবনে নিয়ে আসে সবচেয়ে বড় মোড়।

সম্প্রতি দুবাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অভিভাবকহীন সেই কঠিন সময়ের স্মৃতি তুলে ধরেন বলিউডের ‘বাদশা’। তিনি জানান, জীবনের সেই দুঃসময়ই তাঁকে ভেতর থেকে বদলে দেয় এবং লড়াই করে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি জুগিয়েছিল।

দুবাইয়ে নিজের নামে বাণিজ্যিক টাওয়ারের উদ্বোধনে বন্ধু কোরিওগ্রাফার ও নির্মাতা ফারাহ খানকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন শাহরুখ। সেখানে জীবনের শুরুর দিনগুলো কেমন ছিল, কী ছিল তাঁর তারকা হওয়ার প্রধান অনুপ্রেরণা—এসব বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
শাহরুখ বলেন, ‘আমার জীবনের বাঁকবদলকারী মুহূর্ত ছিল খুব অল্প বয়সে আমার বাবা-মায়ের চলে যাওয়া। আমি ভেবেছিলাম যে তাঁরা আকাশে তারা হয়ে গেছেন, তাঁরা আমাকে দেখতে পাবেন না আর।’

জীবনের বাঁকবদলকারী মুহূর্ত নিয়ে এরপর অভিনেতা বলেন, ‘এরপর আমি পরিশ্রম করা বাড়িয়ে দিয়েছিলাম, যাতে বড় কোনো মানুষ হতে পারি। সৃষ্টিকর্তা খুবই দয়ালু। সম্প্রতি লন্ডনে “দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে” ছবির একটি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য স্থাপন করেছি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি এবং এখন দুবাইয়ে আমার নামে একটি ভবনও হয়েছে। আমার উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীতে এতটা বড় হওয়া, যাতে আমার মা–বাবা ওপার থেকেও আমাকে দেখতে পান। আমার কাছে সেটাই ছিল জীবনের বাঁকবদলকারী মুহূর্ত।’

এর জবাবে টাওয়ারটির দিকে ইঙ্গিত করে ফারাহ খান বলেন, ‘এটা তো আকাশের খুব কাছাকাছি।’ শাহরুখ উত্তর দেন, ‘আমি আশা করি তাঁরা সেখান থেকে আমাকে দেখতে পাবেন।’

শাহরুখের বাবা তাজ মোহাম্মদ খানের মৃত্যু হয় ক্যানসারে। এরপর তিনি মাকে হারান।