১৬ এপ্রিল ২০২২, ১৫:১২

সশরীরে পরীক্ষা না নেওয়ার দাবিতে ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন  © সংগৃহীত

করোনায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সশরীরে পরীক্ষা না নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি করে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, পোর্টফোলিও অব এভিডেন্স (পিওএ) হচ্ছে—ক্লাসে উপস্থিতি, ক্লাস মূল্যায়ন পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, মক টেস্টসহ শ্রেণীকক্ষের সামগ্রিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের পদ্ধতি। করোনা সংক্রমণের বিষয়টি বিবেচনায় এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন দেশে ইংরেজি মাধ্যমের পরীক্ষা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দুই বছর সশরীরে ক্লাস বন্ধ ছিল। এতে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি। এ অবস্থায় সশরীরে পরীক্ষা হলে ফলাফল খারাপ হবে এবং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

মানববন্ধনে আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এ লেভেলের পরীক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, সশরীরে পরীক্ষা না নিয়ে প্রমাণভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হোক—এটাই আমাদের দাবি। করোনার কারণে বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের সিলেবাস কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, যা ন্যায্য। আমরা চাই, সশরীরে পরীক্ষা না নিয়ে মডেল টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট উপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে প্রমাণভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হোক। গত দুই বছরে করোনার কারণে ক্লাস হয়নি। অনলাইন ক্লাস হয়েছে। এ কারণে আমাদের প্রস্তুতিও ভালো নয়।

‘এ’ লেভেলের পরীক্ষার্থী জাইমা তৌহিদ মানববন্ধনে বলেন, ক্যামব্রিজ ও এডেক্সেল সংগঠন ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জন্য একটাই বিকল্প দিয়েছে। সেটি হচ্ছে, পিওই পদ্ধতি অথবা শিক্ষকদের মূল্যায়ন (টিচার্স অ্যাসেসড গ্রেডস) পদ্ধতি দিয়ে সশরীরের পরিবর্তে পরীক্ষা নেওয়া। কিন্তু, এর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন। আমরা আবেদন করেছিলাম, শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, অনুমতি দেবেন। তবে শেষ মুহূর্তে অনুমতি মেলেনি। এটা আমাদের জন্য বৈষম্য। বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা কম সিলেবাসে পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছে। তাই আমরাও প্রমাণভিত্তিক পরীক্ষা দিতে চাই।

শিক্ষার্থীরা ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের পরীক্ষা সশরীরের পরিবর্তে বিকল্প হিসেবে পোর্টফোলিও অব এভিডেন্স (পিওএ) ব্যবস্থায় দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এমনকি তারা তাদের দাবি আদায়ে প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর করা এক চিঠি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও তারা জানায়।