ফি না দেয়ায় ভর্তি বাতিলের হুমকি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর!

  © ফাইল ফটো

দেশে চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে করে শিক্ষাকার্যক্রমকে ধরে রাখতে অনলাইনে নেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ক্লাস ব্যবস্থা। কিন্তু করোনাকালীন এই দুঃসময়েও টিউশন-ফি আদায়ে অকেটা বেপরোয়া বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত দেশের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো। কোনো ছাড় দেয়া হচ্ছে না করোনাকালীন এই শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি জমা দিতে অভিভাবকদের চাপ দিচ্ছে। ফি দিতে না পারা শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এমনকি ভর্তি বাতিল করার হুমকিও রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনা পরিস্থিতির কারনে শিক্ষার্থীদের পাঠ প্রক্রিয়া অনেকটাই বদলে গেছে। স্কুলের ক্লাস যখন বাড়িতে থেকে অনলাইনে করতে হচ্ছে তাই বাড়িই এখন শ্রেণিকক্ষ। নিজের পড়ার টেবিলে বসে এভাবেই পড়াশোনা স্ট্যান্ডার্ড ওয়ানের ছাত্র ইহানের। পড়া না বুঝায় শিক্ষককে বারবার ডাকার পরও মেলে নি কোনো সাড়া। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অভিযোগ অনলাইনে পাঠদান অনেক সময়ই একমুখী হয়ে পড়ে।

এক শিক্ষার্থী বলেন, ম্যাডামকে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ম্যাডাম শুনতে পায় না। দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থী এক সঙ্গে কথা বলায় কেউই শুনতে পায় না।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে প্রায় চার শতাধিক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে এভাবেই পাঠদান চলছে। এসব স্কুলে সময়মতো টিউশন ফি দিতে না পারলে পাঠদানের সুযোগ আর মিলছে না। ফলে এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা স্কুলগুলোকে সরকারী তদারকিতে আনার দাবি জানান।

অভিভাবকদের মধ্যে অনেকে বলছেন, স্কুল থেকে আমাদেরকে নানা রকম প্রেশার দেয়া হচ্ছে, সেটা ই-মেইল, মোবাইলে এবং এবং ম্যাসেজে। যদি ফি পরিশোধ করা না হয় তাহলে বাচ্চাকে স্কুলে অ্যাডমিশন দেবে না।

আবার অনেকে বলছে, স্কুল থেকে বলা হচ্ছে, টিউশনফি যদি না দেয়া হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে নেয়া হবে না। এবং অনেক স্কুলে অনলাইন ক্লাসে এক্সেস দেয়া হচ্ছে না।

তবে এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ড বলছে স্বেচ্ছাচারিতার কোনও সুযোগ নেই। তাদের কোনও অভিযোগ পেলে নিবন্ধন বাতিল করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।