‘আমার জীবিকা নির্বাহের শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে’
‘আমি মার খাইলাম, গুলি খাইলাম, মানসিক নির্যাতনের শিকার হইলাম। আমাকে যর্থাথ চিকিৎসা দেওয়া হল না, ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল না, একটা চাকরি দেওয়ার কথা ছিল সেটাও দেয়া হল না। উল্টো আমার জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম, শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই অন্যায়ের বিচার আমি কার কাছে চাইব?’ কথাগুলো বলেছেন ১৬ জানুয়ারি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার শিকার সজল কুন্ডু। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ভবনের সামনে ‘ছিনিয়ে নেয়া’ ক্যাফেটেরিয়া ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে অবস্থান নেন তিনি।
সজল কুন্ডু জানান, জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ক্যাফেটেরিয়ার বরাদ্দ পাওয়ার পর ১৬ জানুয়ারি পুলিশি হামলায় আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা ও অন্যান্য অসুস্থতা এবং আন্দোলনের ফলে ক্যাম্পাসে সৃষ্ঠ অচলাবস্থার কারণে ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ হয়ে গেলে ২৪ ফেব্রুয়ারি পুনরায় ক্যাফেটেরিয়া খুলেন তিনি। খোলার পর থেকে সেখানকার স্টাফদের আচরণে অসমাঞ্জস্যতা লক্ষ্য করেন।
আরও পড়ুন: ‘তুমি’ সম্বোধনে ছাত্রলীগ নেতার মারধর: তদন্ত শেষ হয়নি ৫ মাসেও
সজল বলেন, ‘যারা আমার কাজের প্রতি অনেক সন্তুষ্ট ছিলেন হঠাৎ করে তাদের কি যেন হল! নতুন-নতুন নিয়ম কানুন ও বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি হতে থাকে। কারণে অকারণে আমাকে শাসানো হতে থাকে আর বলা হতে থাকে আমি এইখানে থাকতে পারব না, আমাকে এখান থেকে বের করে দেয়া হবে। আমি সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতাম, এই বুঝি কোন একজন স্যার আসবেন আর আমাকে শাসাতে শুরু করবেন। রোজার ঈদের সময় সিকিউরিটির বিষয় দেখিয়ে প্রশাসন আমার কাছ থেকে ক্যাফেটেরিয়ার চাবি নিয়ে নেয়। ঈদের পর চাবি দেওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন তালবাহানা, নতুন নিয়ম নীতি দেখানো শুরু করে। গত ২৮ মার্চ ক্যান্টিনের পুরাতন নীতিমালা বাতিল করে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সঠিক ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার পক্ষে বেশ সাংঘর্ষিক।’
১৬ জানুয়ারির ঘটনার পরবর্তী সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে ‘যৌক্তিক’ দাবি ছিল তার সাথে সংহতি প্রকাশ ও ‘এত বড় দাবি’র অংশ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার ‘অধিকার’ ও ‘রুটিরুজির জায়গা’ ক্যাফেটেরিয়া ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে মনে করেন সজল কুন্ডু।