উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদের জন্য শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা গর্বিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা গর্বিত। কারণ তাদের উপাচার্য ফরিদ সাহেব এবং তার সহকর্মীরা ওদের আন্তরিকতা আছে, ইচ্ছা আছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্রদের জন্য ‘সৈয়দ মুজতবা আলী আবাসিক ছাত্র হলের বর্ধিত অংশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার সময় উপাচার্যের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৭টি অবকাঠামো প্রজেক্ট তৈরি হচ্ছে। এগুলো তৈরি হলে শাবিপ্রবির অবকাঠামোগত সব প্রয়োজন অর্জিত হবে। সিলেটের সাংসদ হিসেবে উপাচার্য ফরিদ ও তাদের সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এ অবকাঠামো উন্নয়নে তারা কোনও রকম কারচুপির প্রশ্রয় দেন নাই।
শাবিপ্রবি দুর্নীতিমুক্ত উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আসে। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্নীতির অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। আপনারা সবাই এ কাজের প্রতি সমর্থন করবেন।
আরও পড়ুন: ওয়েবমেট্রিক্স র্যাংকিংয়ে বুয়েটকে পেছনে ফেলে সেরা শাবিপ্রবি
উদ্বোধন পরবর্তী আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, সৈয়দ মুজতবা আলীর ভ্রাতুষ্পুত্র রুহুল আমীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, সিলেট একটি ঐতিহ্যময় শহর। এটি একটি অনেক জ্ঞানী লোকের শহর। কিন্তু দুঃখের বিষয় সম্প্রতিকালে শিক্ষার বিষয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। এক সময় সারা বাংলাদেশের বেশি শিক্ষিত লোক এ সিলেটেই ছিল।
তিনি বলেন, সিলেটের বেশি শিক্ষিত লোক হওয়ায় ব্রিটিশ শাসন আমলে অনেক জায়গায় সরকারি চাকরিগুলোতে সিলেটিদের অবস্থান থাকত। বর্তমানে শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের সিলেটের অবস্থান নিম্নে। আর এ নিম্নের ফলে আমাদের মাতৃমৃত্যু বেশি, আমাদের শিশুমৃত্যুর হার বেশি। এখানে স্কুল কলেজও অনেক কম। আমাদের সিলেটবাসীর শিক্ষার বিষয়ে আরও বেশি জোর দিতে হবে।
২০১১ সালের আগস্টে তিনতলা বিশিষ্ট ১টি ব্লকে মাত্র ৬৮টি আসন নিয়ে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে শাবিপ্রবির সৈয়দ মুজতবা আলী হল। পরে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯ বছর পর ২০২০ সালের শুরুতে এ হলের বর্ধিত করণের কাজ শুরু হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সৈয়দ আলী বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের অধীনে ১৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা ব্যয়ে বর্তমানে এ হলের শিক্ষার্থী ধারণ ক্ষমতা এখন ৪০০-তে উন্নীত হয়েছে।
এছাড়া নতুন প্রকল্পের আওতায় আধুনিকভাবে নির্মিত এ হল উদ্বোধনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অপেক্ষার পালা শেষ হতে যাচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এদিন থেকেই ভর্তি সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবেন বলে জানিয়েছেন হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু সাঈদ আরফিন খাঁন।