চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ভাড়া বাড়িতে হবে অস্থায়ী ক্যাম্পাস
জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ভাড়া বাড়িতে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে আলোচিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গত বৃহস্পতিবার অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহারের জন্য বাড়ি ভাড়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মামলার কারণে অধিগ্রহণ না হলেও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আবদুল হাই স্বাক্ষরিত বিজ্ঞাপনে মেঘনা তীরের সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের ৬২ একর জমিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী তথা নির্ধারিত স্থান দেখানো হয়েছে এবং এর আশপাশে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে প্রাধান্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহারের জন্য স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য সরকার নির্ধারিত স্থানের কাছাকাছি অথবা চাঁদপুর শহর কিংবা শহরের উপকণ্ঠে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের ভবন ভাড়া প্রয়োজন। আগ্রহীদের ২৫ আগস্টের মধ্যে বাড়ির বিস্তারিত ও ভাড়ার পরিমাণ উল্লেখ করে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, নির্ধারিত হলে তো আমরা এ শব্দই ব্যবহার করতাম। জমি অধিগ্রহণ সম্পূর্ণ হয়নি বলে দুটি বিষয় বিজ্ঞাপনে রাখা হয়েছে।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.নাছিম আখতার বলেন, সরকার নির্ধারিত বলেই প্রশাসনিক অনুমোদন হয়েছে। আর বিজ্ঞাপনের ভাষা ইউজিসির। পাঠদানসহ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যেখানে ভালো হবে, সেখানেই বাসা ভাড়া নেওয়া হবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন শুরু যাচ্ছে, ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু। এখন বাড়ি ভাড়া করে চালানো ছাড়া আপাতত কোনো ব্যবস্থা নেই।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত জায়গার মালিক লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের রিটের বিষয়ে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছে, তা বহাল রেখেছে। আদেশে জমি অধিগ্রহণের জন্য চাঁদপুর জেলা প্রশাসককে ১৯৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, আইনে যা আছে তার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় আসার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।