জবির পর অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে শাবিপ্রবিও
সরকারের জ্বালানী ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নির্দেশনার আলোকে শতকরা ২০ ভাগ জালানী ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সপ্তাহে একদিন অনলাইনে ক্লাস নেয়া ও সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে একই কারণে একদিন অনলাইনে ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। আগামী কার্য সপ্তাহ থেকে প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অনলাইনে এবং বাকি ৪ দিন সরাসরি ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সশরীরে ৪ দিন ক্লাস চললেও সেসব দিনগুলোতে ‘কিছু পরিবহন সেবা কিছুটা হ্রাস করা হবে’ বলে
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশের আলোকে আজ বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যা পরবর্তী কার্য সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবহন বৃহস্পতিবার পুরোপুরি বন্ধ থাকবে এবং অন্যান্য দিনেও কিছু পরিবহন সেবা কিছুটা হ্রাস করা হবে।
সভায় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট জাতীয় এ সমস্যায় আমরা দেশবাসীর পাশে থাকতে চাই। আমাদেরকে দেশপ্রেমের সাথে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় করোনা মহামারিতে ক্যাম্পাসে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেশের মানুষের পাশে ছিল। এবারও বিশ ভাগ জ্বালানী ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে তাদের পাশে থাকবো। তবে কোনকিছুতেই যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্য বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন।
এ সময় কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ ডিনবৃন্দ ও বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ৪ আগস্ট জ্বালানি সাশ্রয় সংক্রান্ত একটি বৈঠকে জবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে লিফটের ব্যবহার সীমিত করা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের তাপমাত্রা একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত রাখা। এবং যেদিন অনলাইন ক্লাস চলবে সেদিন নতুন একাডেমিক ভবনে কেবল একটা লিফট চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস ও দপ্তর চালু থাকবে বলেও জানানো হয়।