২৭ জুলাই ২০২২, ১১:৩৪

বুলবুলকে খুনে ব্যবহৃত চাকু ও মোবাইল উদ্ধার

বুলবুল   © টিডিসি ফটো

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত চাকু ও নিহতের মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, শাবি শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত চাকু ও নিহতের মোবাইল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

গতকাল রাতে তার প্রেমিকাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেছে পুলিশের একটি দল। তারা সেই রাতে কি হয়েছিল সেটি জানার চেষ্টা করছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর জালালাবাদ থানার পুলিশ তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময়   তার সঙ্গে ছিলেন প্রক্টর ইসরাত ইবনে ইসমাইল ও ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন। 

আরও পড়ুন: বুলবুলকে খুন করে ‘তিনজন’, ‘কল লিস্ট’ মুছে ফেলেছেন প্রেমিকা

জানা গেছে, বুলবুল নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহাব মিয়ার ছেলে। ৭ মাস আগে মারা গেছেন তার বাবা। একমাত্র বড় ভাইয়ের বেসরকারি চাকরি ও বুলবুলের টিউশনির টাকায় চলত তাদের পাঁচ সদস্যের সংসার। তার প্রেমিকা শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

বুলবুলের মৃত্যুর ঘটনায় সিলেটের জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে তদন্তও শুরু করেছে। জানতে চাইলে জালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শাবিপ্রবি ছাত্র হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বুলবুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা এক ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার আচরণ আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওই ছাত্রী আমাদের একেক সময় একেক তথ্য দিয়েছেন। প্রথমে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে জানালেও পরবর্তীতে ঘটনার সময় উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া একবার বলছেন দুইজন হত্যা করেছে; আবার বলছেন তিনজন ছিলেন। আমরা সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই মামলার তদন্ত করছি।