শাবিপ্রবি ছাত্র হত্যা: ৫ প্রশ্নের উত্তর মিলছে না
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বুলবুল আহমেদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সময় ‘ডেড স্পটে’ উপস্থিত ছিলেন তার প্রেমিকা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
নিহত বুলবুলের মোবাইল কোথায় গেল? বুলবুলকে উদ্ধারের পর কেন তার প্রেমিকা হাসপাতালে যেতে চাননি। ছরিকাঘাদের প্রায় ৩০ মিনিট পর কেন উদ্ধারের জন্য ফোন দেওয়া হলো? হাসপাতালে প্রেমিকা সবার আড়ালে গিয়ে কার সাথে কথা বললেন? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলছে না।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীকালুর টিলায় এই ঘটনা ঘটে।বুলবুল আহমেদ শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার প্রেমিকা শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ছাত্র হত্যার সময় উপস্থিত প্রেমিকার রহস্যজনক আচরণ
জানা গেছে, বুলবুলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার প্রেমিকা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নগরের আখালিয়া এলাকার মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সেখানে কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপতাল ত্যাগ করেন তিনি। যাওয়ার আগে সহপাঠীদের ওই ছাত্রী বলেছেন, তিনি একটু আলাদা হয়ে মোবাইলে জরুরি কথা বলবেন।
বুলবুলকে ছুরিকাঘাতের পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্র আবদুল্লাহ আল রোমান। জানতে চাইলে রোমান বলেন, ওই মেয়ের সঙ্গে বুলবুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কাল বিকেলে তারা ক্যাম্পাসের গাজিকালুর টিলায় যায়। সেখানে সাড়ে সাতটার দিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এরপর ৭টা ৩৮ এ ওই মেয়ে আমাকে ম্যাসেঞ্জারে নক দেয়। আমি তাতে রেসপন্স না করায় ৭টা ৫১ সে আমার মোবাইলে কল দিয়ে জানায়, বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এর পর বুলবুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ছাত্র হত্যা: প্রেমিকাকে নিয়ে ‘ডেড স্পটে’ পুলিশ
এদিকে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর জালালাবাদ থানার পুলিশ তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রক্টর ইসরাত ইবনে ইসমাইল ও ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন।
জানতে চাইলে জালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শাবিপ্রবি ছাত্র হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বুলবুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা এক ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার আচরণ আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই ছাত্রী আমাদের একেক সময় একেক তথ্য দিয়েছেন। প্রথমে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে জানালেও পরবর্তীতে ঘটনার সময় উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া একবার বলছেন দুইজন হত্যা করেছে; আবার বলছেন তিনজন ছিলেন। আমরা সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই মামলার তদন্ত করছি।