প্রতিষ্ঠার ২১ বছরে রাবিপ্রবি
লাল পাহাড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ ২১তম জন্মদিন। ৬৪ একরের এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সরকারের আইন-২০০১ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠা হলেও শিক্ষা কার্যক্রম ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু হয়। শিক্ষাকার্যক্রম শুরুর পর থেকেই ১৫ জুলাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
শুরুর দিকে শাহ্ বহুমুখী বিদ্যালয়ের ২টি শ্রেণি কক্ষ ভাড়া করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হতো। নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। ভাড়া করা মাত্র ২টি শ্রেণিকক্ষের বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন এখন ৬৪ একর।
পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে কাপ্তাই লিংক রোডের ধার ঘেষে পাহাড়ে ঘেরা ঝগড়াবিলে বিশ^বিদ্যালয়ের জন্য ৬৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা শেষে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস। বর্তমানে মোট ৫টি বিভাগের আওতায় প্রায় ৮০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
শিক্ষা, সম্প্রীতি, প্রগতি এই তিন মূলনীতির উপরে প্রতিষ্ঠিত রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থায় আসতে নানা বাধা বিপত্তি পার করতে হয়েছে। ভৌগলিক অবস্থান থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সমতলে না হওয়ায় এখানকার পরিবেশ কিছুটা আলাদা। বৈরী এই পরিবেশকে পিছনে ফেলে হাঁটি হাঁটি পা-পা করে বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়িয়েছে তার নিজ ভূমির উপরে।
চ্যালেঞ্জিং প্রাকৃতিক অবস্থা ও শিক্ষার আলো জ্ঞানের মশালে জ্বলে রাবিপ্রবি হেঁটে চলেছে আগামীর পথে। নানা চড়াই-উৎরাই পার করে রাবিপ্রবি পা দিয়েছে তার গৌরবের ২১ বছরে। লাল পাহাড়ের ধ্বসের সাথে বন্ধুত্বতা করেই রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে তার নিজ কক্ষপথ ধরে।
যেখানে গবেষণায় মনোযোগী একঝাঁক শিক্ষক ও শিক্ষার নুড়ি কুড়ানো শিক্ষার্থীদের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে আন্ধকার থেকে আলোর দিকে। জানান দিচ্ছে নিজেদের অবস্থান। সাদা মেঘের শুভ্রতা ও সবুজ পাহাড়ের লাল মাটির মেলবন্ধনে আবদ্ধ রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বছর জুড়ে আলাদা আমেজ লক্ষ্য করা যায়।
সকল ধর্মের আলাদা রীতি-নীতি, আচার অনুষ্ঠান সহ প্রতি বছরে বৈসাবির উৎসবে হারিয়ে যাওয়া অন্যতম একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শুধু সম্প্রীতিই নয় বরং সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে রাবিপ্রবি কাজ করে যাচ্ছে।
রাবিপ্রবির এগিয়ে যাওয়াটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত ও প্রশাসনের যুগোপযোগী সিদ্ধান্তে রাবিপ্রবি পৌঁছে যাবে তার কাঙ্খিত লক্ষে এমনই মনে করেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের।