মাভাবিপ্রবিতে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া না গেলেও ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শুক্রবার (৩ জুন) সকাল থেকেই থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটতে থকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার মাভাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ নেতা (কমিটি নেই) মানিক শীল গ্রুপের কর্মী আবিদের দোকানের সামনে থাকা গাছ থেকে আম পাড়েন নিবিড় পালের গ্রুপের কর্মীরা । এ সময় আবিদ তাদের নিষেদ করে। তবে নিষেধ না শোনায় তিনি তাদের চড় মারেন। পরবর্তীতে নিবিড় গ্রুপের কর্মীরা একত্রিত হয়ে আবিদকে চড় মারেন।
এই ঘটনার জেরে শুক্রবার সকালে আবিদ ও তার লোকজন নিবিড় গ্রুপের প্রান্ত দত্তকে মারধর করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে নিবির গ্রুপের প্রায় শতাধিক কর্মী ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছে।
তবে আম পাড়াকে কেন্দ্র কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, সিনিয়র ও জুনিয়রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এই ঘটনা তারা তাৎক্ষণিক মীমাংসা করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: উপাচার্যদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণে যাচ্ছে ইউজিসি, বরাদ্দ ১৫ লাখ
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মানিক শীল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা মেরেছিল। এটা ছাত্রলীগের কোনো ঘটনা না। ক্যাম্পাসে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ থাকতেই পারে। তবে এখন ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে।
একই ধরনের কথা বলেছেন নিবিড় পালও। তিনি জানান, আমার আর মানিক শীলের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। সেজন্য একটি মহল ছাত্রলীগের নামে বদনাম রটাতে চায়। এটা ছাত্রলীগের কোনো ঘটনা ঘটনা না। এটা সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ। আমরা বিকেলে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গত মঙ্গলবার আম পাড়াকে কেন্দ্র করে জুনিয়র শিক্ষার্থীরা একজন সিনিয়রকে মেরেছিল। এই ঘটনা তখন মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছিল। তবে আজ হঠাৎ করে আবারও তাদের মধ্যে (নিবির পাল ও মানিক শীল গ্রুপ) উত্তেজনা দেখা দেয়। ক্যাম্পাসে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিকেলে আমরা সবাই বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।