হাবিপ্রবিতে এনরোলমেন্ট আর্থিক সহায়তার জন্য ৪২৭ শিক্ষার্থীর আবেদন
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এনরোলমেন্ট আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন ৪২৭ জন শিক্ষার্থী। গত এপ্রিল মাস থেকে শুরু করে ১২ মে পর্যন্ত এনরোলমেন্ট আর্থিক সহায়তার আবেদন জমা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ। সোমবার (১৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আর্থিক সহায়তার জন্য শিক্ষার্থীদের কিভাবে নির্বাচন করা হবে, জানতে চাইলে অধ্যাপক ইমরান পারভেজ বলেন, আমরা যাচাই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে বেশকিছু বিষায়দির উপর স্কোরিং করবো। আমাদের ট্রাস্টিবোর্ডের কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কতজন শিক্ষার্থী এ সহায়তা পাবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
তিনি বলেন, তবে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যাদের সিজিপিএ ভালো হবে তার স্কোর বেশি হবে। এছাড়া পিতা বেঁচে থাকলে এবং মাতা মৃত্যুবরণ করলে একরকম স্কোরিং হবে। পক্ষান্তরে মাতা বেঁচে থাকলে এবং পিতা মৃত্যুবরণ করলে অন্য আরেক রকম স্কোরিং হবে। কিংবা পিতা ও মাতা উভয়ে বেঁচে থাকলে অথবা উভয়েই মৃত্যুবরণ করলে অন্য আরেক রকম স্কোরিং হবে। এনরোলমেন্ট আর্থিক সহায়তার জন্য প্রার্থীর বাসায় সদস্য সংখ্য কত সে ব্যাপারটিও স্কোরিংয়ের ক্ষেত্রে সমানভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবি ছাত্র পলাশকে ‘শ্বাসরোধে’ হত্যার অভিযোগ বাবা-মায়ের
শিক্ষার্থীরা বলেন, এনরোলমেন্ট আর্থিক সহযোগিতা হাবিপ্রবির অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধিকার। সোশ্যাল সায়েন্স এন্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, দীর্ঘদিন এ আর্থিক সহায়তা না পেয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে এনরোলমেন্টের টাকা জমা দেয়ার সময় অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কারণ হাবিপ্রবির এনরোলমেন্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স নিতে প্রায় প্রতি সেমিস্টারে পাঁচ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয়।
প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো সাক্ষাৎকার নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজন মনে করলে আমরা প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবো। তবে কোনো প্রার্থী ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে ওই প্রার্থীর আবেদন সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে। আমরা যথাযথ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যবলি সম্পাদন করবো।
এনরোলমেন্ট আর্থিক সহায়তার জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দুই হাজার টাকা করে পাবেন বলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১৫ জুনের মধ্যেই এই অর্থ সহায়তা শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে বলে জানা গেছে। ট্রাস্টিবোর্ডের নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় চার বছর থেকে এ আর্থিক সহায়তা পায়নি শিক্ষার্থীরা। তবে এখন থেকে শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবেই বছরে দুইবার এই অর্থ সহায়তা দেয়া হবে।