চাঁবিপ্রবি জমি অধিগ্রহণে ৩৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের জন্য জমি অধিগ্রহণে সরকারের ৩০০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
দুদক সচিব বলেন, প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি মাসের শুরুর দিকে চাঁদপুরে অভিযান পরিচালনা করে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযানে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে সরকারনির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি দাম দেখানো হয়।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ১৩৯টি উচ্চমূল্যের দলিল কারসাজির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে জেলা প্রশাসনে জমির দামে ফারাকের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তা করা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষামন্ত্রীর পরিবারের কেউ এতে জড়িত কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন। আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের নাম চলে আসবে। এখানে গোপন করার কিছু নেই। তদন্তে উদঘাটিত হবে কারা জড়িত।’
আরও পড়ুন: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিল পাস
সম্প্রতি প্রস্তাবিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পরিবারের সদস্যরা জড়িত বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তবে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ অভিযোগ নাকচ করে দেন।
এরপর গত ৬ এপ্রিল দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পত্তি অর্জন বিষয়ে চাঁদপুরের লক্ষ্মীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাইয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুমিল্লার সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সা’দাৎ-এর নেতৃত্বে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির জমি অধিগ্রহণে বিরাট অঙ্কের অর্থ লুটপাটের দূরভিসন্ধি সম্পর্কে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।