পবিপ্রবির ৭০ শিক্ষার্থী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত
গেল ১০-১২ দিনে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) অন্তত ৭০ জন শিক্ষার্থী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের নলকূপের পানি ও ডাইনিংয়ের খাবার খেয়ে তারা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গছে, এ সময়ের মধ্যে শেরে বাংলা হল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একাধিক হলের ৫-৭ শিক্ষার্থী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ হলের নলকূপের পানি পান করে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীও আক্রান্ত হয়েছেন।
ডায়রিয়া আক্রান্ত প্রায় সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বলছেন, শের-ই-বাংলা হলের (ডি-২) টিউবওয়েলের পানি খেয়ে এমন হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলেন ডাইনিংয়ের খাবার খেয়ে অথবা গরমে তরমুজ খেয়ে এ সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন: বৈচি ফলের নতুন জাত উদ্ভাবন পবিপ্রবি অধ্যাপকের
এসব কারণ ছাড়া অন্য কোন কারণে এ সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এম কেরামত আলী হলের এক শিক্ষার্থী জানান, তারা অনেকেই বাইরের খাবার খান। তাদের এ ধরনের কোন সমস্যা হয়নি। এ শিক্ষার্থীদের মতে তীব্র গরম ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটের কারণে ডায়রিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক এ টি এম নাসির উদ্দিন বলেন, বিশুদ্ধ পানি পানের বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের পানি ফুটিয়ে পান করতে বলেছি।
মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে তেমন কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না। এখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন। আর যারা বেশি অসুস্থ তাদেরকে বরিশালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
শের-ই-বাংলা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হক ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইতোমধ্যে হলের পানির ট্যাঙ্কগুলোর সাথে পাইপের লাইন ও টেপ পরিষ্কার করা হয়েছে। শেরে-ই-বাংলা হলের ডি-২ এর নলকূপটিও মেরামত করানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তকে একাধিকবার কল করেও তার থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে রাখা হয়েছে। উপাচার্যের পক্ষ থেকে ক্ষুদেবার্তারও কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।