অন্তু রায়ের মৃত্যু: কুয়েট কর্তৃপক্ষের দাবি তাদের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত ৪ এপ্রিল ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের দিনমজুর দেবব্রত রায়ের ছেলে অন্তু রায় ঘরের আড়ায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্বজনরা জানায়, ২০১৮ সালে কুয়েটে ভর্তির পর থেকেই অভাবের মধ্যেই দিন পার করছিল অন্তু। বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ রশীদ হলে অবস্থানকালে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়ুয়া অন্তুর কয়েক হাজার টাকা বকেয়া হয়। এছাড়া সেন্ট্রাল ভাইভা দিতে না পারায় চরম হতাশায় ছিলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০১৮ সালে কুয়েটে ভর্তির পর থেকে থাকা-খাওয়ার জন্য রশীদ হলে ১৮ হাজারের বেশি টাকা বকেয়া পড়ায় অন্তু নন বোর্ডার হয়ে যান। এছাড়া তিনি সেন্ট্রাল ভাইভাও দিতে পারেননি।’ কয়েকজনের উদ্ধৃতি দিয়ে এমন সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তাতে আরও বলা হয় ‘সামান্য টাকার জন্য কেন অন্তুদের হলে নাম কাটা যাবে, কেন ভাইভা দিতে পারে না। কুয়েট কেন খোঁজ নিলো না।’ তবে এসব মিথ্যা তথ্য ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
আরও পড়ুন- ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চান এসএসসি ২০১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম. এ. রশীদ হলে অন্তু রায়ের ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত হল ভর্তি ও সিট বরাদ্দ বাবদ বকেয়া ছিল ছয় হাজার ৬৫৫ টাকা। অন্তু কখনও হলে ডাইনিং ব্যবহার করেনি। ফলে তার খাওয়া বাবদ কোনও বকেয়াও নেই এবং এজন্য তাকে ‘নন বোর্ডার’ করার কোনও প্রশ্ন আসে না। হলের পক্ষ থেকে টাকা পরিশোধের জন্য তাকে কোনও চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। বরং তার পারিবারিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার হলে থাকার ব্যবস্থা করেছিল। এছাড়া হলের বকেয়া টাকার সঙ্গে সেন্ট্রাল ভাইভার কোনও সম্পর্ক নেই। অন্তু রায় দ্বিতীয় বর্ষের সব পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেন্ট্রাল ভাইভাতে অংশ নেননি এবং এর কোনও কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।