শাবিপ্রবিতে নারী দিবস উদযাপন
‘নারীর সু-স্বাস্থ্য ও জাগরণ’ এবং ‘টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সেস অনুষদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আলাদাভাবে দিবসটি পালন করা হয়।
স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সেস অনুষদের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি বিল্ডিং থেকে একটি র্যালির শুরু হয়ে অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে লাইব্রেরি বিল্ডিং-এর সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় অনুষদের ডিন প্রফেসর দিলারা রহমানের সভাপতিত্বে ও পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের এসিসট্যান্ট প্রফেসর ও প্রথম ছাত্রী হলের এসিসট্যান্ট প্রভোস্ট জোবায়দা গুলশান আরা সিনথিয়ার সঞ্চালনায় এ সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আল-আমীন, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক শাকিল, ইংরেজি বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর রোকেয়া বেগম, কাউন্সিলর সাইকোলজিস্ট মোছা: ফজিলাতুন্নেসা, এসিসট্যান্ট রেজিস্ট্রার সেলিনা চৌধুরী, শিক্ষার্থী মাদিয়া চোধুরী প্রমূখ। অপরদিকে বেলা সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশীদারীত্ব এবং সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সহকর্মীদের ফুল প্রদান এবং কেক কাটা হয়।
প্রফেসর দিলারা রহমান বলেন, নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের সাথে আমাদের এসডিজি অর্জনে সফলতার ব্যাপারটি জড়িত। আমরা নিজেদের সভ্য দাবি করলেও আজও গণ পরিবহন ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। একটি দেশে নারী ও পুরুষের সমতা না থাকলে সে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। এছাড়াও এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘নারীর সু-স্বাস্থ্য ও জাগরণ’কে প্রাত্যহিক ও জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত করার ওপর জোর দিতে বলেন প্রফেসর দিলারা রহমান।
আরও পড়ুন: গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন
পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক শাকিল বলেন, একটি রাষ্ট্র ও সমাজ কতটা সভ্য তা পরিমাপের অন্যতম মাপকাঠি হচ্ছে সেই রাষ্ট্র ও সমাজে নারীদের অবস্থান কতটা সুসংহত, নারীরা কতোটা সম্মানিত।
তিনি বলেন, নারীর উন্নয়ন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জড়িত। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ঘোষণা ও সনদে স্বাক্ষরকারী অন্যতম দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারীর ক্ষমতায়ন সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্বের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতাও।
অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে নারী সহকর্মীরা দায়িত্ব ও কর্তব্য দক্ষতার সঙ্গে পালন করে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় প্রশাসনিক কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে পুরুষ সহকর্মীদের পাশাপাশি নারী সহকর্মীদের অবদান কম নয়। সবার পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতামূলক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সংক্ষিপ্ত সভায় সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. জহির বিন আলম, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ও প্রথম ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. জায়েদা শারমিন, আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. আলমগীর তৈমুর, ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. হোসেইন আল মামুন, বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. ফারজানা সিদ্দিকা, নৃ-বিভাগের প্রধান প্রফেসর আ ফ ম জাকারিয়া, বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. ফয়জুল ইসলাম, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মো. সামিউল ইসলাম, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর শাকিল ভূইয়া, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খাঁন, ইংরেজি বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মাসুমা আক্তার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা নূরজাহান ফাতেমা, মোঃ শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী শিশির, মোহাম্মদ আবু শহিদ খাঁন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অফিসার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে নারী দিবস উদযাপনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মুর্শেদ আহমেদ, মো. ইউনুস আলী, এ এস এম খয়রুল আক্তার চৌধুরী, আবু সাদাৎ সায়েম তালুকদার, জয়নাল আহমেদ চৌধুরী, মোখলেছুর রহমান পারভেজ, শাহদাত হোসেন চৌধুরী, ফয়জুন্নেসা বেগম মিলি, সেবিকা সুলতানা, পূরবী চ্যাটার্জী, মৃন্ময় দাস ঝুটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।