উত্তাল বশেমুরবিপ্রবি, লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হচ্ছেন স্থানীয়রা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে গোপালগঞ্জে। ক্যাম্পাস সংলগ্ন নবীনবাগে আবারও লাঠিসোটা নিয়ে স্থানীয়রা জড়ো হচ্ছেন বলে জানা গেছে। এতে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর থেকে নীবনবাগের বিভিন্ন অলিগলিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
ওই এলাকার মেসে অবস্থানরত একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের নিয়ে র্যাবের ব্রিফিং শেষে স্থানীয়রা নবীনবাগে জড়ো হতে শুরু করেন। নবীনবাগের মেসে অবস্থানরত ছাত্র-ছাত্রীরা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। যেকোন মুহূর্তে তাদের উপর হামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারকৃতরা ধর্ষণের কথা শিকার করেছে: র্যাব
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবীনবাগের মেসে থাকা এক ছাত্রী জানান, ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই তারা নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে ছাত্রী হলে ধারণ ক্ষমতার অধিক শিক্ষার্থী অবস্থান করায় কর্তৃপক্ষও কিছু করতে পারছে না। নবীনবাগে আমরা প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী থাকি। তাদের সবাই নিরাপত্তাহীনতায় আছে। অনেকেই কান্নাকাটি করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বশেমুরবিপ্রবির প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষকরা নিয়মিত স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতো
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। যার বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রথমে সদর থানা এবং পরে মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয়রা হামলা চালিয়ে ভাইস চ্যান্সেলর সহ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আহত করলে দ্বিতীয় দিনের মতো তারা সকাল থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়।