নারী শিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নারী শিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে দুর্বৃত্তরা জোরপূর্বক তুলে নিয়ে জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা সহপাঠীকে মারধর করে বেঁধে রাখে।
আরও পড়ুন: বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রীক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জন গ্রেপ্তার
অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বশেমুরবিপ্রবির প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানায় অবস্থান নেন। পাশাপাশি তিন দফা দাবি জানিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। ধর্ষকদের বিচার চাওয়ার দুই দফা হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বশেমুরবিপ্রবির প্রক্টর রাজিউর রহমান বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মহিলা পরিষদ মনে করে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা নারী শিক্ষা ও অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। মহিলা পরিষদ দলবদ্ধ ধর্ষণের এ ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করছে। ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার, ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানাচ্ছে।
ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সুচিকিৎসাসহ তার ও পরিবারের সদস্যদের এবং বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। মহিলা পরিষদ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সারাদেশে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।