বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জন গ্রেপ্তার
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতেই ২ জন এবং সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই স্থানীয় বখাটে ছেলে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: মেসে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
এর আগে, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাস্তা থেকে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে দলবেধে ধর্ষণ করা হয়। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীর সাথে থাকা তার সহপাঠীকে মারধর করে অভিযুক্তরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি নিজে এ ঘটনায় বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছি।
এদিকে, বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তার সহপাঠীরা।
ভোর ৬টার মধ্যে অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারসহ একাধিক দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- সকাল ৬টার মধ্যে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও পরিচয় প্রকাশ করতে হবে; ভুক্তভোগীসহ সকাল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: উত্তাল বশেমুরবিপ্রবি, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়ে ভবনে-ভবনে তালা
ভিসি, ডিসি এবং এসপি মহোদয়দের এক ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে আন্দোলনকারীদের সাথে মুক্ত আলোচনায় বসে দাবিগুলোর পূরনের অঙ্গীকার করতে হবে; ঘটানস্থলসহ আশপাশের সকল সিসিটিভি ফুটেজ সকাল ৬টার মধ্যে সংগ্রহ করতে হবে।
এ দাবিগুলো পূরণ করা না হলে গোপালগঞ্জের সকাল প্রশাসনিক, দাপ্তরিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য সকাল ৬টা পর থেকে বন্ধ করে দেয়া হবে বলে এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।