উত্তাল বশেমুরবিপ্রবি, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়ে ভবনে-ভবনে তালা
ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে রাতভর থানা ঘেরাওয়ের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তার সহপাঠীরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছেন তারা। এর আগে, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাস্তা থেকে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে দলবেধে ধর্ষণ করা হয়। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীর সাথে থাকা তার সহপাঠীকে মারধর করে অভিযুক্তরা।
জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী তার এক বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে মেসে যাচ্ছিলেন। পথে তাদের অটো করে তুলে নেওয়া হয়। পরে অজ্ঞাত ৭/৮ জন মিলে তাদের গোপালগঞ্জ জেলা স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি নিজে এ ঘটনায় বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছি।
আরও পড়ুন: মেসে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) নিহাদ আদনান তাহিয়ান বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
এদিকে, ভোর ৬টার মধ্যে অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারসহ একাধিক দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- সকাল ৬টার মধ্যে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও পরিচয় প্রকাশ করতে হবে; ভুক্তভোগীসহ সকাল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ভিসি, ডিসি এবং এসপি মহোদয়দের এক ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে আন্দোলনকারীদের সাথে মুক্ত আলোচনায় বসে দাবিগুলোর পূরনের অঙ্গীকার করতে হবে; ঘটানস্থলসহ আশপাশের সকল সিসিটিভি ফুটেজ সকাল ৬টার মধ্যে সংগ্রহ করতে হবে।
এ দাবিগুলো পূরণ করা না হলে গোপালগঞ্জের সকাল প্রশাসনিক, দাপ্তরিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য সকাল ৬টা পর থেকে বন্ধ করে দেয়া হবে বলে এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।