এবার শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে উপাচার্য ফরিদের কাছে অভিযোগ
এবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বরাবর একটি অভিযোগ জমা পড়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগপত্রে মো. আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির সই ও ফোন নাম্বার রয়েছে। তিনি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে ওই ব্যক্তি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ‘অবাধ মেলামেশার’ কথা উল্লেখ করে অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে তিনি এমন কোনো অভিযোগ দেয়ার কথা অস্বীকার করেন।
আরো পড়ুনঃ ইবিতে দ্বিতীয় মেধাতালিকার ভর্তি শেষেও ৭০ শতাংশ আসন খালি
তিনি বলেন, ‘আমরা ভাই সাধারণ মানুষ। আমি এইরকম কিছু দেইনি। আমি এসব দেব কেনো? এ রকম কোনো অভিযোগের কথা আমি জানি না।’
এদিকে ছাত্র আন্দোলনের কারণে গত ১৬ জানুয়ারির পর থেকে উপাচার্য আর নিজ অফিসে আসেননি। অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সোমবার রাতে এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার, শাহরিয়ার আবেদীন ও মীর রানার সই করা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়- ‘সম্প্রতি আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় উপাচার্য বরাবর একটি অভিযোগ দেয়ার কথা জেনেছি। দীর্ঘ অনশনের পর যখন শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, তখন এ ধরনের বানোয়াট অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যকার সৌহার্দ্যকে বিনষ্ট করার কূটচাল বলেই প্রতীয়মান হয়।’
শাবিপ্রবির উপাচার্য (ভিসি) ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অনেক অভিযোগের একটি, ভিসির নির্দেশে সন্ধ্যার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। ছাত্রীদের সন্ধ্যার পর হলের বাইরে পেলে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা হেনস্তা করেন।
সংবাদ সম্মেলন করে গত ২৫ জুন উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রীদের সন্ধ্যার মধ্যে হলে প্রবেশে বাধ্য করা নিয়ে ক্ষোভ জানান তারা।
শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগ চাউর হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকার অনেককে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখান। এসবের মধ্যেই উপাচার্য কার্যালয়ে সোমবার লিখিত ওই অভিযোগ পড়ার কথা জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শাবি প্রক্টর আলমগীর কবীর বলেন, ‘আমি শুনেছি কে বা কারা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে অভিযোগে কী লেখা রয়েছে তা আমি দেখিনি।’