বাসা থেকে অফিস করছেন ভিসি অধ্যাপক ফরিদ
বাসায় থেকেই অফিস করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। আজ রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খোলা থাকলেও নিজ কার্যালয়ে আসেননি তিনি। এমনকি আন্দোলনের পর থেকে এখনো বাসা থেকে বের হননি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ। এদিকে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে প্রতিদিনই নতুন নতুন কর্মসূচি পালন করছে আন্দোলনকারীরা।
বাসা থেকে ভিসির অফিস করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভিসি বাসায়ই আছেন। এখনো অফিসে আসেন নি। জরুরি কোনো ফাইল আসলে ওনার বাসায় পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন- সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ভিসি অধ্যাপক ফরিদ
১৩ জানুয়ারি রাতে সিরাজুন্নেসা হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রীরা। পরের দিন দাবি মেনে নেয়ার কথা দিলেও তা পূরণ করেননি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ। দাবি পূরণে সময় চাওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যায় ছাত্রীরা। পরে তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে যুক্ত হন ছাত্ররাও। ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগ হামলা চালালে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। পরেরদিন ভিসিকে আইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। পুলিশ তালা ভেঙে ভিসিকে উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর ভিসি পদত্যাগে সময় বেধে দিয়ে গণ অনশনে বসে শিক্ষার্থীরা। ১৬৩ ঘণ্টা অনশন করার পর বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের আশ্বাসে অনশন ভাঙেন তারা।
এসময় ড. জাফর ইকবাল বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আশ্বাসে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে যান। দ্রুত দাবি মেনে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। দাবি মানা না হলে তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এরপর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনিও শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আভাস দেন।
আরও পড়ুন- দ্বিতীয় মেয়াদে কাউকে ভিসি নিয়োগ না দেওয়ার সুপারিশ
অনশন ও ভিসির বাসভবনের সামনে থেকে সরলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় তাদের দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনই তারা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ভবনের তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। সেদিন কয়েকজন কর্মকর্তা অফিসে আসলেও বেশির ভাগই অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।