অবরোধ তুলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
সকল ধরনের অবরোধ তুলে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রোমিও নিকোলাস রোজারিও।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন খুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রোমিও বলেন, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে অনশনরত থাকার পর মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এবং ইয়াসমিন হক ম্যামের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা অনশন থেকে সরে আসা হয়। তবে উপাচার্যের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা স্যারকে মাধ্যম করে দেয়া ৫টি দাবির উত্থাপন করে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থদানের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন সাবেক শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর, অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলাটি প্রত্যাহার, অনশনকারী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ বহন, ভিসির মদদে সংঘটিত নারকীয় পুলিশী হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়া ইত্যাদি।
এতে আরও বলা হয়, আমাদের মূল দাবি ভিসি প্রত্যাহার এবং এরই সাথে ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণের দায়িত্ব শ্রদ্ধেয় জাফর স্যার এবং ইয়াসমিন ম্যাম শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নিয়েছেন। একই সাথে ক্যাম্পাসের সমস্ত আবাসিক হল যা বর্তমানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে সচল রেখেছে সেগুলোও পুরোদমে চালু হবে।
জাফর স্যার এবং ইয়াসমিন ম্যামের অনুরোধে শিগগিরই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক এবং উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের দখলে থাকবে, পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে শব্দ চয়ন সংক্রান্ত যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। এতে উচ্চারিত কোন কথা কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এদিকে আন্দোলনে সাংস্কৃতিক অংশ হিসেবে-রিম, শিকড়, নোঙর সংগীত পরিবেশন করছেন।