অনশন ভাঙলেও চলবে আন্দোলন
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙালেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তিনি শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টা ৫৪ মিনিটে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আসেন। এরপর ৪টার দিকে তিনি অনশনস্থলে যান। সেখান গিয়ে তিনি অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তার স্ত্রী ইয়াসমিন হকও সঙ্গে ছিলেন।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে অধ্যাপক ফরিদের পদত্যাগের দাবিতে একদল শিক্ষার্থী অনশন করছিলেন। মোট ২৮ জনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ২০ অনশনকারী। আজ সকাল ১০টার দিকে হাসপাতাল ভর্তি ২০ শিক্ষার্থীকে অনশনস্থলে আনা হয়। সেখানেই অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, দীর্ঘ ১৬৩ ঘন্টা ভাঙলেও শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে। পরবর্তী কর্মসূচি শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দুপুরের পর ঘোষণা করা হবে। তাদের মতে, অনশন ভাঙলেও তাদের আন্দোলন থামেনি। নতুন কৌশলে পুনরায় আন্দোলন চালু হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব জানান, যাদের চিকিৎসা নেওয়া দরকার তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা ক্যাম্পাসে আলোচনা করে শিগগির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালায়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে এবং তাদের লক্ষ্য করে গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে এ আন্দোলন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।
আজ আন্দোলনের ১৪তম দিন। প্রথম ছয় দিনে দাবি পূরণ না হওয়ায় ১৯ জানুয়ারি বেলা তিনটা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। তাদের একজনের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাড়ি চলে যান তিনি। গত শনিবার রাত আটটা থেকে আন্দোলনরত আরও পাঁচ শিক্ষার্থী অনশনরতদের সঙ্গে যোগ দিয়ে গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। যারা হাসপাতালে ছিলেন, তাদের হাসপাতাল থেকে আজ সকালে আনা হয়।