নানা আয়োজনে যবিপ্রবিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
কেক কাটা, জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনসহ নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে। তবে করোনা অতিমারীর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় অত্যন্ত সীমিত পরিসরে এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচির শুরুতে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর প্রশাসনিক ভবনের পার্শ্ববর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্থাপিত কাউন্টডাউন ঘড়ির সামনে ১৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কেক কাটা হয়। যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের পক্ষ থেকে কেক কাটা অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, ড. মো. মেহেদী হাসান, ডিন অধ্যাপক ড মোঃ জিয়াউল আমিন, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আলম হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সেলিনা আক্তার, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. শওকত ইসলাম সবুজ, যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা বিপ্লব দে শান্ত, শিলা আক্তার, নাজমুস সাকিব, নুর মোহাম্মদ টনি, আসিফ আল মাহমুদ, আশিক খন্দকার প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানগণ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্ষুধার কষ্ট, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সবকিছুকে টেক্কা দিয়ে শিউলির এমবিবিএস পাস
উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। তবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে। যশোর শহরের ধর্মতলাস্থ ‘বৃষ্টি মহল’ নামের একটি ভাড়া বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ ভাড়া বাড়িতেই ২০০৯ সালে ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ‘কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল’, ‘পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’, ‘অণুজীববিজ্ঞান’ এবং ‘ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স’ বিভাগে ২০০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ওই বছরের ১০ জুন ভর্তিকৃত ২০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাসের শুভ উদ্বোধন করেন। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতটি অনুষদের অধীনে ২৬টি বিভাগ রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকসহ মোট ২৯০ জনের অধিক শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রেডের প্রায় ১১৯ জন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ৩৩২ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। যারা নিজেদের মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গবেষণা নির্ভর বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।