যেভাবে আমাজনে চাকরি পেলেন পাবিপ্রবির রায়হান

আবু রায়হান
আবু রায়হান  © সংগৃহীত ছবি

টেক জায়ান্ট আমাজনে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পেয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী আবু রায়হান। করোনার কোন সমস্যা না হলে আগামী এপ্রিলেই আমাজনের আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন অফিসে যোগ দিবেন। 

চাকরির পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আবু রায়হান বলেন, আমাজন অথবা এরকম টেক জায়ান্ট কোম্পানি সকলের রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়া প্রায় একইরকম। তাদের একটা গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড আছে। তাদের সকল রিক্রুটকে নির্দিষ্ট কিছু ধাপে যাচাই করা হয়, যে তাদের মানদণ্ড অনুযায়ী ঠিক আছে কিনা। পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে শুরু করে নিয়োগ পর্যন্ত সকল প্রক্রিয়া গ্লোবালি দেখা হয়। আমাকেও সেই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। স্ক্রিনিং রাউন্ড, কোডিং টেস্ট, সিস্টেম ডিজাইন টেস্ট, বিহ্যাবরিয়াল টেস্ট সহ আরও কিছু পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। সকল পরীক্ষা শেষে যখন হায়ারিং কমিটি তাদের মানদণ্ড অনুযায়ী আমাকে ঠিক মনে করেছে, তখন আমাজন আমাকে ফাইনাল অফার দিয়েছে।

আরও পড়ুন: অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে গণপরিবহন, বাড়ছে না ভাড়া

আবু রায়হান বলেন, ছোটবেলা থেকেই টেকনিক্যাল বিষয়গুলো ভালো লাগতো আমার। তবে কম্পিউটারের কাজ সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান ছিল না আগে। শুধুমাত্র সাধারণ ব্যবহার পারতাম। প্রোগ্রামিং এর হাতেখড়ি হয়েছে ক্যাম্পাসে ভর্তি হওয়ার পরেই। আগে এই বিষয়ে কোন জ্ঞান ছিল না আমার। তবে ভর্তির সময় আমার পরিবারের খুব ইচ্ছে ছিল আমি ইইইতে ভর্তি হই। কিন্তু আমি আমার পছন্দের বিষয় আমার পরিবারকে বোঝাতে সক্ষম হয়।

প্রোগ্রামিংয়ের নিয়ে রায়হান বলেন, ডিপার্টমেন্টের বড় ভাইয়ারা প্রথম দিক থেকেই প্রোগ্রামিং এর গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু বলতো। বড় ভাইয়াদের অনুপ্রেরণায় প্রোগ্রামিং শুরু করি। তারপর বিভিন্ন অনলাইন প্রব্লেম সমাধান করতে গিয়ে এর প্রতি আসল ভাল লাগা শুরু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোগ্রামিং কন্টেস্টে যাওয়ার সুযোগ হয়। তবে লেগে থাকতাম ভালো কিছু করার চেষ্টায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজাল্ট  নিয়ে তিনি বলেন, প্রথম ২ সেমিস্টার ফলাফল অনেক খারাপ করি আমি। ৩য় সেমিস্টারে এসে বুঝতে পারি রেজাল্টের গুরুত্বও আছে। তাই তখন থেকে একাডেমিকের প্রতিও গুরুত্ব দেয়া শুরু করি। ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্যামসাং এ পরীক্ষা দিয়েছিলাম। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুদিন পরেই স্যামসাং এ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যুক্ত হয়।

আরও পড়ুন: ছাত্র জীবনে অভিজ্ঞতা ছাড়াই আয় করার ৫ পদ্ধতি

আমাজনে নিজের লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, চেষ্টা থাকবে নিজের ভালো একটা অবস্থান তৈরি করার। তবে মূল লক্ষ্য থাকবে সামনে আরও অনেক নতুন কিছু শেখার।

এ বিষয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবদুর রহিম বলেন, এই খবরটা সত্যি আমাদের জন্য আনন্দের। শুধু আমাদের জন্য নয় পুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই এই খবরটা আনন্দের। আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে।

 


সর্বশেষ সংবাদ