গবেষণায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে চতুর্থ নোবিপ্রবি
গবেষণা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী ম্যাগাজিন সায়েন্টিফিক বাংলাদেশের জরিপে গবেষণায় দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৪র্থ স্থান অর্জন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। এছাড়া সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১২তম অবস্থানে রয়েছে উপকূলের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) সায়েন্টিফিক বাংলাদেশের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে ২৯৭টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে নোবিপ্রবি। প্রতিবেদনটিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্কোপাস জার্নালের বিভিন্ন উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তথ্য প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: গবেষণায় দেশসেরা ঢাবি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রাবি-বুয়েট
সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ স্কোপাস জার্নালের ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা নিবন্ধের ভিত্তিতে একটি তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকায় মোট ১১ হাজার ৪৭৭টি বৈজ্ঞানিক ডকুমেন্টস প্রকাশ করে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো যা ২০২০ সালের চেয়ে বেড়েছে প্রায় ৩০০০। এর মধ্যে ২০২১ সালে নোবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ২৯৭টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে যা ২০২০ সালে ছিল ১৭৪টি।
আরও পড়ুন: সিমাগো র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ও স্কোপাস জার্নালের রিভিউয়ার অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে নোবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ২৯৭টি গবেষণাপত্র স্কোপাস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৭৪টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণার সংখ্যা বেড়েছে। গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাজেটের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে আমরা এই অর্জন করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: সেরা ৭৬ কলেজের নাম ঘোষণা, শীর্ষে রাজশাহী কলেজ
বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, একজন শিক্ষকের কাজ শিক্ষকতা ঠিক মতো করা এবং পাশাপাশি গবেষণায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ সুবিধা যতটুকুই থাকুক না কেন, এর মধ্যে গবেষণা বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করেছি। এই ফল দেখে খুবই ভালো লাগছে।
তিনি আরও বলেন, যেসব শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গবেষণার পর আজকের এই ফল বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট যারা সর্বোপরি কাজ করে যাচ্ছে তাদের সবার অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা।