ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ জন আজীবন বহিষ্কার
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ সংগঠনটির চার নেতাকর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছিলো। অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকজ করা হয়েছিলো ছাত্রলীগের ৪৪ নেতাকর্মীকে। তাদের ৩ জানুয়ারি বিকালের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সবাই শোকজের জবাব দিয়েছে।
আরও পড়ুন- সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রিধারী শিক্ষকের সংখ্যা কমেছে
এতোদিন সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে ছিলো শিক্ষক সমিতি এবং ওই শিক্ষকের পরিবার। কুয়েট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হলে ক্লাসে ফিরবেন বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষকরা। আগামীকাল শিক্ষক সমিতির সভা রয়েছে।
গত ২৮ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটি উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে কুয়েটের লালন শাহ হলে নিজেদের পছন্দের ডাইনিং ম্যানেজার নিযুক্ত করতে ড. সেলিমের ওপর ছাত্রদের চাপ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। ড. সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ৪৪ শিক্ষার্থী যে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তদন্তে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
‘‘প্রতিবেদনে ওই ঘটনায় পর্যবেক্ষণসহ ৯টি সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটি যেসব সুপারিশ করেছে, সেখানে ছাত্র রাজনীতি একেবারে বন্ধ করার কথা বলা হয়নি। তবে কিছুদিনের জন্য ক্যাম্পাসে ছাত্রদের রাজনীতি স্থগিত এবং ৪৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন- অধ্যাপক ছাড়াই চলছে ছয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
এর আগে, কুয়েটের ৭৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।