২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:২৪

যবিপ্রবিতে গবেষণা পুকুরের বেহাল দশা, ফেলা হচ্ছে উচ্ছিষ্ট

যবিপ্রবিতে গবেষণা পুকুরের বেহাল দশা  © টিডিসি ফটো

শুধুমাত্র নামেই রয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের একমাত্র গবেষণা পুকুর ‌‘ব্রুড পনড’। গবেষণা পুকুরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি আবাসিক হলের মাঝামাঝি হওয়ায় হলের ময়লা পানিসহ খাবারের উচ্ছিষ্ট ও মসজিদের ব্যবহৃত পানি সরাসরি ফেলা হচ্ছে পুকুরটিতে।

এর ফলে নষ্ট হচ্ছে পানির গুণগত মান, ব্যাহত হচ্ছে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন।

আরও পড়ুন: ৩ দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাসমাবেশ

দুইটি আবাসিক হল ও মসজিদের পানি নিষ্কাশনের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সরাসরি পুকুরে ফেলা হচ্ছে দূষিত পানি ও ময়লা-আবর্জনা। পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুকুরে জন্মাচ্ছে শ্যাওলা, যা মাছের প্রাকৃতিক খাবার তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করছে। পুকুর খনন, সংস্কার ও পাড় বেঁধে ছোট ছোট ব্রুড পনড করার কথা থাকলেও করোনাকালীন সময়ে সেটা করা সম্ভব হয়নি। ফলে পুকুরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় ইতোমধ্যে বেশকিছু মা মাছ অন্য গবেষণা পুকুরে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আসপিয়াকে ফুল দিয়ে বরণ করলো জেলা পুলিশ সুপার

এ বিষয়ে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‌‘পুকুরটিকে এখন আর গবেষণা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না। মূলত আমরা একে মা মাছের মজুদ পুকুর হিসেবে ব্যবহার করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে হলের পানি ও ময়লা আবর্জনাগুলো পুকুরে ফেলা হচ্ছে। এতে পানির গুণগতমান নষ্ট হচ্ছে। ফলে মাছ চাষ ও গবেষণার জন্য প্রকৃত অর্থে এই পুকুরটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা পুকুরটি খনন ও উঁচু করে পাড় বেঁধে একাধিক ছোট ছোট গবেষণা পুকুর করার পরিকল্পনা করেছিলাম। তবে করোনাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি।’

আরও পড়ুন: ব্যতিক্রমধর্মী প্রচারণায় ববি শিক্ষার্থী ইয়াসিন

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি দ্রুত এটির সংস্কার কাজ শুরু করে আগামী মৌসুম থেকে গবেষণার জন্য ব্যবহার করবো। ইতোমধ্যে বেশকিছু মা মাছ নতুন গবেষণা পুকুরে স্থানান্তর করেছি। মা মাছের প্রজননের জন্য বড় ও আলাদা ধরনের জলাধার প্রয়োজন হয়। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গার সংকট ও লোকবলের অভাবে পরিপূর্ণভাবে কাজগুলো চালিয়ে যেতে পারছি না। এই বিষয়ে আমরা উপাচার্য মহোদয়কে জানিয়েছি এবং তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা বর্ধিত করা হলে আমাদের জন্য আলাদা গবেষণা পুকুরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’