বিজয় দিবসে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির শ্রদ্ধাঞ্জলি
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মহান বিজয় উপলক্ষ্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (হাবিপ্রবিসাস) পক্ষ থেকে হাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার ( ১৬ ডিসেম্বর ) বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র গণমাধ্যম সংগঠন হিসাবে সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শহীদদের এবং যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যেসকল মা-বোন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের সকলেরর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. মিরাজুল আল মিশকাত বলেন, ‘‘মহান স্বাধীনতার স্থপতি বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং সেই সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন আমাদের মতো তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বর্তমান তরুণ সমাজ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। বর্তমান প্রজন্ম থেকে শুরু করে আগামী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ( মিডিয়া) ভূমিকা অপরিসীম। তবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও তাঁর স্মৃতিকে হত্যা করতে পারেনি অপরাধীরা’’।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. আবীর আল রাশীক , সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মুবাশ্বের, অর্থ সম্পাদক আফনাফ শাহরিয়ার সোহাগ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ আবু সাহেব, হাবিবুর রহমান ও আরমান। এছাড়া সাধারণ সদস্য হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গোলাম ফাহিমুল্লাহ, সাদমান সাকিব, নাজমুল খান সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদানের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এদিকে বিজয় দিবস-২০২১ উপলক্ষে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও ‘‘মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সন্ধিক্ষণে শিক্ষার্থীদের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’’ রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান। রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. মিরাজুল আল মিশকাত।
উল্লেখ্য যে, হাবিপ্রবির ছেলে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য ক্রিকেট ও ফুলবল খেলার আয়োজন করার পাশাপাশি হাবিপ্রবির মহিলা শিক্ষকদের জন্য মিউজিক্যাল চেয়ার ও কর্মকর্তাদের জন্য লুডু প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।