রাষ্ট্রপতির আসামিদের ক্ষমা করাই মহৎ কাজ হবে: ছাত্রলীগের সাবেক নেতা
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দিলে মহৎ কাজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা। আলোচিত এই রায় ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড দেন আদালত। আসামিদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
স্ট্যাটাসে মেহেদী হাসান মোল্লা লিখেন, বুয়েটের ছাত্র আবরারের পরিবার সম্পর্কে আমি জানি না। তারা কতেটা মহৎ তাও জানা নাই। আবরারের পরিরার ফাঁসির আদেশকৃত ২০ জন বুয়েটের ছাত্রকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে ক্ষমা করে দিলে এটা হবে সবচেয়ে মহৎ কাজ।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ওই দিনগত রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।