আসামিরা কীসের আশায় এতটা শান্ত, প্রশ্ন ফাইয়াজের
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে আসামিদের আদালতে আনা হয়। এরপর বেলা পৌনে ১২টায় তাদের এজলাসে তোলা হয়। এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আবরারের ছোট ভাই ফাইয়াজ।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফাইয়াজ লিখেছেন, আমরা সন্তুষ্ট কীনা? কেবল তো রায় দিয়েছে। খুনিগুলো এখনো মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সন্তুষ্ট সেদিনই হবো যেদিন এদের মৃতদেহ কারাগার থেকে বের হবে।
ফাইয়াজ লিখেছেন, ‘‘আশা ছিলো ২৫ জনেরই ফাঁসি হবে কিন্তু যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এখন ২ বছর ২ মাস লাগলো এই রায় আসতে শঙ্কা এখানেই। উচ্চ আদালতে তাহলে কতদিন? আর দেখেছেন আসামিরা এখনো কতটা নিশ্চিন্ত যখন তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রিজনভ্যানে। তারা কীসের আশায় এতটা শান্ত? এদেরকে এভাবে দেখে কী সন্তুষ্ট হওয়া সম্ভব?’’
দ্রুত এ রায় কার্যকরের দাবি জানিয়ে ফাইয়াজ আরও লিখেন, উচ্চ আদালতে যেন আর বিলম্ব না হয়। একটা কথা না বললেই না দেশবাসী সকলের কাছে কৃতজ্ঞ আমরা।। সকলের সমর্থন ও সহানুভূতিই বিচারকে এতদূর নিয়ে এসেছে।
এর আগে, বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আসামিদের এজলাসে তোলা হয়। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছিলো। এ মামলার তিন আসামি পলাতক রয়েছে।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া জানান, দুপুর ১২টার দিকে রায় ঘোষণা হতে পারে। রায়ে সব আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছেন তিনি।