সব বিশ্ববিদ্যালয় হলের জন্য ‘স্ট্রং মেসেজ এই রায়’: বুয়েট প্রশাসন

ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান
ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বদ্যালয়ের (বুয়েট) হলে ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসের জেরে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমান জানান, এ রায় শুধুমাত্র বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বদ্যালয়ের (বুয়েট) ক্ষেত্রে নয়, বাংলাদেশের যত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ যেখানে আবাসন সুবিধা রয়েছে, সেখানে অবস্থানরতদের জন্য একটি স্ট্রং মেসেজ (কড়া বার্তা)।

তিনি বলেন, হলে অন্যায়ভাবে কোনো শিক্ষার্থীকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করলে এবং এ ধরনের কার্যকলাপে জড়িত থাকলে আদালতের পক্ষ থেকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, সেটি স্পষ্ট হলো। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করতে অতি উৎসাহীরা কয়েকবার চিন্তা করবে। সর্বোপরি এ রায় সবার জন্য স্ট্রং মেসেজ।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আসামিদের সাজা হওয়াতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর নির্যাতন অনেকটাই কমে আসবে।


সর্বশেষ সংবাদ