কুয়েট অধ্যাপকের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের আবেদন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলার আবেদন করেছে খুলনার খান জাহান আলী থানা। আজ রবিবার (৫ ডিসেম্বর) ওই থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আজ দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের জন্য খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, যেহেতু এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি, সে কারণে আদালত লাশ উত্তোলনের অনুমতি দেয়নি। আদালত থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর তারা খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানান। মরদেহ যেহেতু কুষ্টিয়াতে দাফন করা হয়েছে, সে কারণে খুলনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি কুষ্টিয়ার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠিয়েছেন।
ওসি প্রবীর জানিয়েছেন, গত ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়া অধ্যাপক ড. সেলিমের মরদেহ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়েছিল।
এদিকে অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কুয়েটের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিতে ২ জন প্রতিনিধি দিয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসন ও মেট্রোপলিটন পুলিশ।
কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঁইয়া জানান, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। আজ বিকেলে কমিটির সদস্যরা বৈঠক করেন। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান তার মনোনীত ছাত্রকে সম্প্রতি লালন শাহ হলের ডাইনিং ম্যানেজার নিযুক্ত করার জন্য হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সেলিমকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন।
গত ৩০ নভেম্বর সেজান ৪০-৪২ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে আবারও অধ্যাপক ড. সেলিমকে চাপ প্রয়োগ এবং তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে বাসায় গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে অধ্যাপক ড. সেলিমের মৃত্যু হয় বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছেন।