কুয়েট অধ্যাপকের মৃত্যু: ৫ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটি
কুয়েট অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩ ডিসেম্বর বিকাল ৪টার মধ্যে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঁইয়া এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন।
অপরদিকে ২ ও ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত অপরাধীদের সনাক্তকরণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পর্যালোচনা করত: সুপারিশসহ রিপোর্ট প্রদান করার জন্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদ, সদস্য প্রফেসর ড. খন্দকার মাহবুব হাসান, সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মো. আলহাজ উদ্দীন, পুলিশ কমিশনার, কেএমপি, খুলনার মনোনিত একজন প্রতিনিধি (ন্যুনতম সহকারী কমিশনার পদমর্যাদা সম্পন্ন) এবং জেলা প্রশাসক, খুলনার মনোনিত একজন প্রতিনিধি (ন্যুনতম নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পদমর্যাদা সম্পন্ন)।
কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে উল্লিখিত বিষয়ে তদন্ত করত: সুপারিশসহ রিপোর্ট ভাইস-চ্যান্সেলর বরাবর দাখিল করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে কুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য ও সিসি টিভি ফুটেজের দৃশ্য অনুযায়ী মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা তাকে অপমান অপদস্ত করে। মানসিক নির্যাতনে হৃদরোগে মারা যাওয়া কুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর জন্য দায়ী ছাত্রলীগের নেতাদের বহিষ্কারসহ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে গতকাল ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।