হল ছাড়ার নির্দেশে ভোগান্তিতে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা

হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

প্রশাসনের হল ছাড়ার জরুরি নির্দেশে ভোগান্তিতে পড়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। অনেকে বাড়ি ফেরার জন্য বাসের টিকিট পাচ্ছেন না। আবার বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষাও করতে হচ্ছে অনেকের।

শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে কুয়েট বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই হল ছাড়তে শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আবাসিক হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে হঠাৎ হল ছাড়ার নির্দেশনায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করার পরপরই দুপুর থেকে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বাস বা ট্রেনের টিকিট পাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।

যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওসমান গণি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, করোনার জন্য অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। এতো দিন তো পড়ালেখা শেষ হয়ে যেত। ২৫ অক্টোবর ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। আবার ভ্যাকেন্ট। আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। পড়াশোনা শেষ করতে কত দিন লাগবে, জানি না। সব মিলিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।

আর্কিটেকচার বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আকিব বলেন, দুপুরে হঠাৎ করে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভেবেছিলাম ক্লাস হবে না এমন কোনো সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু হল ত্যাগের কথা বলা হয়নি। এ জন্য সবাই বিপাকে পড়েছে। আমার বাড়ি চট্টগ্রাম। টিকিটও পাব কি না সন্দেহ। এখন কোনো মেচে থাকতে হবে। পরে বাড়িতে যাব।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের সঙ্গে ছাত্রলীগের কয়েকজন খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকি তাকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। পরে বাসায় ফিরে বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।