কুয়েট ছাত্রলীগ নেতার ‘আত্মহত্যা’ চেষ্টা!
শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাহমিদুল ইশরাক আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শাখা ছাত্রলীগ এ অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি, বর্তমানে ইশরাক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তিনি কোন হাসাপাতালে আছেন বা আত্মহত্যা চেষ্টা চালানোর বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগ ছাত্রলীগ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আত্মহত্যা চালানোর বিষয়ে নিশ্চিত নন বলে জানান।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ওই নেতা।
ছাত্রলীগের একটি অংশের নেতা-কর্মীদের লাঞ্ছনার পর মঙ্গলবার শিক্ষক অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠার পর দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চলছে প্রতিষ্ঠানটিতে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীগের ওই অংশের নেতৃত্বে ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান। ঘটনার সময় তাদের সাথে ইশরাকও উপস্থিত ছিলেন।
ইশরাকের আত্মহত্যা চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইশরাক এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সে এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি। আমরা নিয়মিতই তার খোঁজখবর রাখছি। কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় আমাদেরকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে যতটুকু জেনেছি এ অপবাদ সইতে না পেরে মানসিক চাপে সে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছে।
সেজান আরও বলেন, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে সংবাদ আসে ইশরাককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন আমরা ক্যাম্পাসের সবগুলো সিটিটিভি ফুটেজ খোঁজ করি এবং তার গতিবিধি জানার চেষ্টা করি। একটিতে দেখতে পাই, ইশরাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি পার্কের পাশে বালুর মাঠের দিকে গিয়েছে। সেখানে গিয়ে আমরা দেখতে পাই, ইশরাক একা পড়ে আছে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে তিনি আত্মহত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপরাগ ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. ইসমাঈল সাইফুল্লাহ বলেন, আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর বিষয়টা নিশ্চিত নই। গতকাল আমার কাছে খবর আসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওরা বলেছিলো, কি জানি কি খেয়েছে। আমি শিওর না। আমি লোক পাঠিয়েছি। তারা দেখেছে, ওই ছাত্রকে সেলাই দেয়া ছিলো।