নোবিপ্রবির এক বিভাগে দুই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগে চেয়ারম্যান হিসেবে দুই শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে বিভাগ জুড়ে।

জানা গেছে, উচ্চ আদালতের আদেশে বিএমবি বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমার। অন্যদিকে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ অনুসারে একই দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তনিমা সরকার।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) কোর্স রেজিষ্ট্রেশন এর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে, চেয়ারম্যান হিসেবে মাসিক ভাতা পুনঃ বহাল প্রসঙ্গে, জরুরী ভিত্তিতে কক্ষ বরাদ্দ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর দিয়ে তিনটি চিঠি ইস্যু করে ড. সুবোধ কুমার। এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর বিভাগের পরীক্ষা কমিটির ডাকা মিটিং এর চিঠিতে বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে চিঠিতে স্বাক্ষর করেন তনিমা সরকার।

এদিকে গত ২৯ নভেম্বর উচ্চ আদালতের এক আদেশে তনিমা সরকারকে নিযুক্ত করে দেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ স্থগিত করে আদালত। আদালতের ওই নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তবে তনিমা সরকার উচ্চ আদালতের আইনকে অমান্য করে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমার। তিনি বলেন, আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ আদালতের রায় আমলে নিয়ে আমার প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিবে।

উচ্চ আদালতের মূল কপি না পাওয়ায় এখনো তনিমা সরকার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (অঃদাঃ) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, আদালতের আদেশ হাতে পেলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে তনিমা সরকারকে নিযুক্ত করা হয়। উক্ত আদেশ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১-এর ধারা ২৫ (৩) আইন বিরোধী।

এর প্রেক্ষিতে অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমারের পক্ষে গত ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আইনি নোটিশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জনকে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ প্রাপ্ত বাকি ৪ জন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জসিম উদ্দিন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ ও বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান তনিমা সরকার।

পরবর্তীতে, শুনানি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভঙ্গ করে দেয়া উক্ত নিয়োগ আদেশ স্থগিত করে উচ্চ আদালত। বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ২৯ নভেম্বর এই রায় দেন।


সর্বশেষ সংবাদ