কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষকদের, ক্লাস না নেয়ার সিদ্ধান্ত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর সুষ্ঠু সমাধানের আগ পর্যন্ত ক্লাস ও ল্যাব কার্যক্রমে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
বুধবার (০১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শিক্ষক সমিতির এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস।
সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে সুষ্ঠু সমাধানের আগ পর্যন্ত ক্লাস ও ল্যাব কার্যক্রমে শিক্ষকরা অংশ নেবেন না। সভায় শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
পড়ুন: ছাত্রলীগের সঙ্গে বৈঠকের পর হার্ট অ্যাটাকে কুয়েট অধ্যাপকের মৃত্যু
এদিকে, অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর সুষ্ঠু বিচারসহ কয়েকটি দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস ও ল্যাব বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্বার বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদ সভা এবং কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে সুষ্ঠু সমাধানের আগ পর্যন্ত শিক্ষকরা ক্লাস ও ল্যাব কার্যক্রমে নেবেন না। এ ছাড়া শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সভায় সুপারিশ করা হয়।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে হার্ট অ্যাটাকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন মারা যান। তাঁর মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।