‘তোরা মরলে কিছু হবে না, আমাদের শিক্ষার্থীরা মরলে দেশের ক্ষতি হবে’
'তোরা মরে গেলে দেশের কিছু হবে না কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা মরে গেলে দেশের অনেক ক্ষতি হবে'— শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের একজন হল প্রভোস্টের এমন অপমানজনক কথার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও ওই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ওই মানববন্ধনে বশেমুরবিপ্রবির আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম বলেন, তোরা মরে গেলে দেশের কিছু হবে না কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা মরে গেলে দেশের অনেক ক্ষতি হবে এমন সব কথা বলেছেন শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের একজন হল প্রভোস্ট। আমরা এই কথারও তীব্র নিন্দা জানাই এবং তার কথা প্রত্যাহার করার আহবান জানাচ্ছি। তা না হলে আমরা আরো তীব্র কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবো।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম সৈকত বলেন, “ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রথমে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে, যা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় কিন্তু পরবর্তীতে মেডিকেল কলেজ প্রশাসন নিজেদের স্বার্থদ্ধারে মিথ্যাচারের মাধ্যমে এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে চেষ্টা করে এবং ইভটিজিং এর অভিযোগ তোলে। এমনকি আমাদের শিক্ষকরা সমঝোতা করতে গেলে তাদের সাথেও অসদাচরণ করে। আমরা তাদের এমন মিথ্যাচার ও এধরনের আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, “হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। এমনকি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ওপর মেসে গিয়েও হামলা করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আমরা এই ঘটনাসহ ওইদিনের সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্তমূলক বিচার চাই।”
এসিসিই বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ মাহাদী বলেন, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয় আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তারা চিকিৎসা দিতেও রাজি হয়নি। এমনকি পরবর্তীতে আহত শিক্ষার্থীদের খুলনা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ থেকপ খুলনা মেডিকেলের ডাক্তারদেরকেও ইমেইল করে চিকিৎসা না দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২১ নভেম্বর বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের এবং সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ দুই শিক্ষক এবং প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ও বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হয়।