২০ নভেম্বর ২০২১, ১৯:১৯

সাত বছরে ১০ কোটি টাকার ‘অস্বাভাবিক’ লেনদেন বুয়েট শিক্ষকের একাউন্টে

নিখিল রঞ্জন  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধরের একটি ব্যাংক হিসাবে কোটি কোটি টাকা ‘অস্বাভাবিক’ লেনদেনের তথ্য মিলেছে। নিখিল রঞ্জন ও তার স্ত্রী অনুরূপা ধরের সোনালী ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে গত সাত বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধান সূত্র বলছে, ২০১৪ সাল থেকে গত ছয় বছরে নিখিল রঞ্জন ধরের একটি ব্যাংক হিসাবে এসব টাকার লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া শেষ তিন বছরে তিনি সঞ্চয়পত্র কিনেছেন ১ কোটি ৮২ লাখ টাকার।

জানতে চাইলে জানতে চাইলে অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধর জানান, বিভিন্ন সময়ে দেশের বাইরে গিয়ে তিনি এসব অর্থ উপার্জন করেছেন। তবে আর্থিক বিষয়টি ওঠার পর তিনি খাতা দেখা এবং প্রশ্নপত্র তৈরি ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে এসব অর্থ আয় করেছেন বলে দাবি করেন।

পড়ুন: নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত বুয়েট শিক্ষক নিখিল রঞ্জন

সরকারি পাঁচ ব্যাংকে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে উত্তর বিক্রির অভিযোগে আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক দেলোয়ার হোসেন, পারভেজ মিয়া এবং প্রেসকর্মী রবিউল আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা।

পড়ুন: প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে বিব্রত বুয়েট, হচ্ছে তদন্ত কমিটি

দেলোয়ারের দাবি, বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান নিখিল রঞ্জনের মাধ্যমেই অল্প টাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিয়োগ পরীক্ষার টেন্ডারগুলো পেয়েছে আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন নিখিল রঞ্জন।

নিখিল রঞ্জন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এইউএসটি) নিয়োগ পরীক্ষার কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। সমন্বিত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাসহ প্রতিবার চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপা হওয়ার পর তিনি দুই সেট সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, একজন আসামি আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বুয়েটের একজন শিক্ষকের নাম বলেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তিনি কীভাবে প্রশ্নপত্র তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং তার কী ভূমিকা ছিল, সব খতিয়ে দেখা হবে।