১৭ নভেম্বর ২০২১, ০৮:১৭

অভিযোগ আর অসন্তোষে চলছে বশেমুরবিপ্রবির বিজয় দিবস হল

  © টিডিসি ফটো

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বিজয় দিবস হলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযোগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে কথা বলে জনা গেছে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের  (ইউজিসি) অনুদানে হলে যে সংস্কারকাজ হয়েছে তাতে তারা সন্তুষ্ট নন। এছাড়া, হলের গণরুমের পরিবেশ, খাবারের মানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও অভিযোগ রয়েছে তাদের।

সরেজমিনে হলটি পরিদর্শন করে দেখা গেছে, হলের গণরুমে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকা সত্ত্বেও সেখানে (একটি রুমে) বসবাস করছেন প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। জায়গার সংকটে শিক্ষার্থীরা নিজস্ব পড়ার টেবিল পর্যন্ত রাখতে পারছেন না। এছাড়া, রুমে বৈদ্যুতিক তারের সুব্যবস্থা না থাকায় যেখানে সেখানে পড়ে রয়েছে বৈদ্যুতিক তার, যা থেকে যেকোনো সময়ই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

এদিকে, শুধুমাত্র গণরুম নয় পুরো বিজয় দিবস হলেই বিরাজ করছে ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ আর হলের ছাদে জমে রয়েছে ময়লার স্তুপ। শিক্ষার্থীরা জানান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে হলটি। এছাড়া হলের অনেক বাথরুম এবং টয়লেটেরই দরজা নেই, আর থাকলেও তা ভাঙা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইউজিসি থেকে আবাসিক হলসমূহ সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো কিন্তু আমাদের হল সংস্কার করার পরেও বসবাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত হয়নি। চতুর্থ তলার বাথরুম এবং টয়লেটগুলোর অধিকাংশই দরজা ভাঙাসহ বিভিন্ন কারণে ব্যবহার অনুপযোগী। এছাড়া একতলা, দুইতলায় যে সংস্কার কাজ হয়েছে সেই কাজও নিম্নমানের।

এ বিষয়ে বিজয় দিবস হলের প্রভোস্ট শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের হলে সংস্কার কাজের জন্য ১৪ লাখ টাকা চাহিদার বিপরীতে ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো যা পর্যাপ্ত নয়। তাই আমরা প্রয়োজনীয় সকল কাজ করতে পারিনি এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করেছি যার মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার, বিভিন্ন দরজা ঠিক করা, রান্নাঘর সংস্কার ইত্যাদি।

হলের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে তিনি বলেন, এই হলে মাত্র একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে যা যথেষ্ট নয়। এছাড়া এর আগে একজন মাস্টাররোলে কর্মী দেওয়া হলেও তিনি এখন আর হলে আসেননা।

প্রসঙ্গত, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় দেড় বছরের অধিক সময় বন্ধ থাকার পর গত ৭ অক্টোবর থেকে খুলে দেয়া হয়েছে বশেমুরবিপ্রবির আবাসিক হলসমূহ। হল খুলে দেওয়ার আগে হলে বসবাসযোগ্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আবাসিক ও অনাবাসিক ভবনসমূহ সংস্কারের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় ইউজিসি।