হাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান ড. এরফান আলী খোন্দকার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ০৭:০১ PM , আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ০৭:৩১ PM
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) বিজ্ঞান অনুষদের পরিসংখ্যান বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. এরফান আলী খোন্দকার। আজ রবিবার (৩১ অক্টোবর ) হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামানের অনুমোদনক্রমে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার ব্যাপারে অধ্যাপক ড. মোঃ এরফান আলী খোন্দকার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয় আমাকে যে বিশ্বাস ও আস্থা থেকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন তা যেন যথাযথভাবে পালন করতে পারি সে জন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি । পাশাপাশি পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে অত্র বিভাগের একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করে পরিসংখ্যান বিভাগ তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করব । এছাড়া পরিসংখ্যান বিভাগে বিভিন্ন লেভেলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট ও করোনা পরবর্তি সময়ের সেশনজট কমিয়ে আনাই এই মুহূর্তে মূল লক্ষ্য।’
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন সেমিনার ও পরিসংখ্যান বিভাগের অ্যাসোসিয়েশন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সাথে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিসংখ্যান বিভাগের ল্যাবের নানাবিধ সমস্যার সমাধান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
এদিকে, অধ্যাপক ড. মো.এরফান আলী খোন্দকার বিশ্বব্যাংক ও ইউজিসির অর্থায়নে Higher Education Quality Enhancement Project ( HEQEP ) এর সহায়তায় পরিসংখ্যান বিভাগে আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, সেমিনার লাইব্রেরী, ওয়ার্কসপ রুম, টেকনিক্যাল ইকুইপমেন্ট, ফার্ণিচার সহ যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়নের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক গবেষক তথা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণামূলক উন্নয়ন কাজে অবদান রেখেছেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, অধ্যাপক ড. মো.এরফান আলী খোন্দকারের দেশি ও বিদেশি জার্নালে মোট ১৯ টি গবেষণা প্রবদ্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া তাঁর পিএইচডির গবেষণা গ্রন্থটি জার্মানীর থেকে প্রকাশিত হয়।