শেখ রাসেলের ছোট্ট জীবন আমাদের জন্য অনেক শিক্ষণীয়: চাঁবিপ্রবি ভিসি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ছোট্ট জীবন সকলের জন্য অনেক শিক্ষণীয় বলে মন্তব্য করেছেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার। আজ সোমবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকীতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন শেখ রাসেল। তার জীবন ছিল মাত্র ১০ বছর ৯ মাস ২৭ দিনের। কিন্তু তার এই স্বল্প জীবনই দেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষের কাছে ভালোবাসার নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে শেখ রাসেল এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, শেখ রাসেল খুব চাপা স্বভাবের ছিলেন। সহজে নিজের কিছু বলত না। তার চোখে যখন পানি, চোখে পানি কেন জানতে চাইলে বলতেন, চোখে যেন কী পড়েছে। ওইটুকু ছোট বাচ্চা, নিজের মনের ব্যথাটা পর্যন্ত কীভাবে লুকিয়ে রাখতে হয় তা শিখেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বন্ধুবৎসল শেখ রাসেলের অন্তরে গরীবদের জন্য ছিল দরদ, মমতা। যখন তিনি জাতির পিতার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যেতেন তখন গ্রামের ছেলেদের জন্য জামা নিয়ে যেতেন। সেগুলো তাদের উপহার হিসেবে দিতেন। আজ শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে দেশ পেত একজন জনদরদি মানুষ।
অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার করে যে ঘাতক চক্র, ১১ বছরের শিশু ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রাসেলকেও রেহাই দেয়নি তারা। সেদিন তার মর্মান্তিক বিদায় ঘটলেও তার ছোট্ট জীবন আমাদের জন্য অনেক শিক্ষণীয়। তাই আমাদের শিশুরা বেড়ে উঠুক শেখ রাসেলের অনুপ্রেরণায়।