সব বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার আহবান যবিপ্রবি উপাচার্যের
আগামী বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। রোববার (১৮ অক্টোবর) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এই আহবান জানান যবিপ্রবি উপাচার্য।
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রিতীকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি আমাদের জন্য ইতিবাচক। আমরা এই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফলে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভোগান্তি কমেছে। তাদের অর্থ ব্যয় কমেছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আশা করছি আগামী বছর থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করবে।
এদিকে চলতি সপ্তাহের মধ্যে গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে। ইতোমধ্যে সারাদেশের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো থেকে ওএমআর শিট আসতে শুরু করেছে। আজ থেকেই শিট গুলো দেখা শুরু হবে।
গুচ্ছ ফল তৈরির সাথে সম্পর্কিত একাধিক সদস্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অধিকাংশ কেন্দ্রের ওএমআর শিট কেন্দ্রে চলে এসেছে। আজ থেকেই ‘স্ক্রিনিং’ শুরু হবে। ওএমআর শিটে কোনো ভুল আছে কিনা সেটি শুরুতে দেখা হবে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে ফল তৈরির কাজ শুরু হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান সোমবার সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব ‘ক’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করবো। আজ থেকে ওএমআর শিট দেখা শুরু হবে।
চলতি সপ্তাহে ফল প্রকাশ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ‘ক’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করতে পারবো। ওএমআর শিট স্ক্রিনিং করতে কিছুটা সময় লাগবে। তেবে আশা করছি এই সপ্তাহে ফল হয়ে যাবে।
এর আগে গতকাল সারাদেশের ২৬টি কেন্দ্রে একযোগে বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিটে সর্বমোট ১২ হাজার ৪৯১টি আসনের বিপরীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পন।