নকশা জটিলতায় ধীর গতিতে চলছে বশেমুরবিপ্রবির গেটের কাজ
‘অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেখানে তিন থেকে ছয় মাসে গেটের কাজ সম্পন্ন হয় সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নয় মাসে গেটের কাজ অর্ধেকও সম্পন্ন হয়নি। প্রতিদিন আমরা শুধুমাত্র দুই তিনজনকে পানি সেচ করতে দেখি।’ এভাবেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন মেইন গেটের কাজের অগ্রগতির বর্ণনা দিচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী উজ্জ্বল মণ্ডল কৃষ্ণময়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির মেইন গেট ও সাব গেট নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০২১ সালের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিলো এবং এ কাজের জন্য আরডিপিতে বরাদ্দ ছিলো ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। তবে বশেমুরবিপ্রবি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জুলাই মাসের কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সময়ে মাত্র ১৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে মেইন গেট ও সাব গেট নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার কাজী মাহবুবুর রহমানের স্থানীয় প্রতিনিধি নূর আলী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘কনসালটেন্সি ফার্ম সয়েল টেস্ট না করেই কাজ শুরু করায় আমাদের পরবর্তীতে অতিরিক্ত মাটি খনন করে কাজ শুরু করতে হয়েছে এর ফলে কিছু সময় বেশি লেগেছে। এছাড়া গেটের ডিজাইনও বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। এমনকি আমরা জিএলের কাজ শেষ করে ফেললেও বাকি অংশের ড্রয়িং ডিজাইন এখন পর্যন্ত পাইনি। আর এসব কারণেই কাজ ধীর গতিতে আগাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরো কয়েক জায়গায় কাজ করি তবে এতটা জটিলতা কোথাও নেই। সব ঠিক থাকলে আমরা ছয় মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে পারতাম।’
কতদিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে নূর আলী বলেন, ‘এটি মূলত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর নির্ভর করছে। তারা আমাদের ড্রয়িং ডিজাইন হস্তান্তর করলে খুব দ্রুত সময়ে গেটের কাজ সম্পন্ন হবে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এস. এম. এস্কান্দার আলী বলেন, ‘সয়েল টেস্ট, ডিজাইন পরিবর্তন এগুলো সবই কনসালটেন্সি ফার্মের দায়িত্ব। তবে সম্প্রতি তাদের সাথে কিছু বিষয়ে একটু জটিলতা চলছে, এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বিস্তারিত বলতে পারবেন।’
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন মাহমুদ বলেন, ‘কনসালটেন্সি ফার্মের সাথে আমাদের কিছু জটিলতা ছিলো। তবে বিষয়টি বর্তমানে সমাধানের পথে। আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে মোটামুটি সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে পাস হওয়া ২ বছর মেয়াদি বশেমুরবিপ্রবি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে বশেমুরবিপ্রবির মেইন গেট নির্মাণ হওয়ার কথা ছিলো। তবে জনবল সংকটসহ বিভিন্ন কারণে প্রকল্পটির মেয়াদ একাধিকবার বৃদ্ধি করা হয়।