বন্ধের মধ্যেও বশেমুরবিপ্রবিতে আন্দোলন-আল্টিমেটাম
অনুমোদনের দাবিতে আবারো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অনুমোদনহীন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবণের দ্বিতীয় তলায় অবস্থান নেয় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
অবস্থানরত ইতিহাস বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, '৪ বছর যাবৎ আমাদের বিভাগটি অনুমোদনহীন ভাবে চলছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সাবেক উপাচার্য ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগের পর থেকে আমরা অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করি। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ইউজিসি থেকে বারবার অনুমোদনের আশ্বাস প্রদান করা হলেও আজও তা কর্যকর করা হয়নি। এমনকি ইউজিসি কর্তৃক ইতিহাস বিভাগকে অনুমোদন প্রসঙ্গে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু উক্ত কমিটি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছুই করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এমন কার্যক্রম্র আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের ভিতর অনুমোদন প্রদান না করলে আমরা আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।'
অবস্থানরত ইতিহাস বিভাগ ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী কারিমুল হক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ইউজিসির কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, 'একটি বিভাগ প্রায় দুই বছর আন্দোলন করে যাচ্ছে। দুই বছর সময় কি একটি বিভাগ অনুমোদনের জন্য যথেষ্ট সময় নয়? যেখানে অনলাইন কার্যক্রম চালিয়েও নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রদান করা হচ্ছে। আমরা দিন দিন অনেক বেশিই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছি। ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো অধ্যায়ে আত্মহত্যা ঘটনার ইতিহাস রয়েছে তাই চাইনা ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটুক। ১৭ সেপ্টেম্বর অনুমোদন না হলে বিশ্ববিদ্যালয় নতুন এক ইতিহাস পরিবার দেখবে।'
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. এ কিউ. এম. মাহবুবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'অনুমোদনের জন্য আমরা আবেদন পাঠিয়েছি তবে প্রতি উত্তর পায়নি। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব আমরা করেছি।'
উল্লেখ্য, বশেমুরবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) থেকে অনুমোদন না নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ খুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করেন। বর্তমানে বিভাগটিতে ৪১৩ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছেন।