বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা মুদ্রার এপিট-ওপিট: বশেমুরবিপ্রবি ভিসি
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের উদ্যোগে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব: বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অনুপ্রেরণা’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৮ আগস্ট) রাতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সহকারী প্রভোস্ট জান্নাতুল ফেরদৌসের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি শেখ আদনান ফাহাদ।
এছাড়া প্রবন্ধ উপস্থাপনায় বশেমুরবিপ্রবির বাংলা বিভাগের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, আলোচক হিসাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি হাসিবুর রহমান, স্বাগত বক্তা হিসাবে হল প্রভোস্ট শামস আরা খান এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা বঙ্গমাতার জীবনী, সংগ্রাম, আত্মত্যাগ, বিচক্ষণতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গমাতা হল প্রভোস্ট শামস আরা খান বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের ছায়াসঙ্গী।
বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানা মুক্তা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত বিভিন্ন বইয়ের আলোকে তার বিভিন্ন উক্তি সহকারে বঙ্গমাতার স্বশিক্ষিতার পরিচয়, অসম্প্রদায়িক স্বত্তা, মানবিকতা, দায়িত্বশীলতা এবং বাঙ্গালিয়ানার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ব্যক্তি মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্বনেতা হওয়ার পিছনে ছিলেন একজন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. হাসিবুর রহমান বঙ্গমাতার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা, বঙ্গবন্ধুর জেলে থাকাকালীন, অনশনের সময়, প্যারোলে মুক্তি না নেয়ার ব্যাপারে এবং ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গমাতার সমর্থনকে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দ্বিধাগ্রস্তকালীন সময়ে বুদ্ধিদীপ্ত অবস্থান ছিলো বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, বঙ্গমাতার বুদ্ধিজীবীতাকে বাংলাদেশ সংজ্ঞায়িত করতে পারেনি এবং তাকে নিয়ে বড় পরিসরে কাজ না করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা, অপ্রাতিষ্ঠানিক, বৈপ্লবিক জায়গা থেকে অনেক খ্যাতি দেখিয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শেখ আদনান ফাহাদ মুজিববাদের শর্তে পুঁজিবাদীদের সমালোচনাকে তুলে ধরে বঙ্গমাতার নির্লোভ ও আদর্শিক অবস্থান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা জীবনে ভোগবাদী, লালসা, বিলাসিতাকে পাশ কাটিয়ে আদর্শকে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সর্বংসহা ও যৌথতার প্রতিক। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকট দূরীকরণে মানুষের স্বার্থে জীবন বিলিয়ে দেয়া বঙ্গমাতার জীবনী থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছাকে নিয়ে গবেষণা ও বিজ্ঞানসম্মত লেখার আহবান জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা মুদ্রার এপিট-ওপিট। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে যতটা সামনে আনা হয়েছে বঙ্গমাতাকে ততটা আনা হয়নি। আগামীর প্রজন্মকে এই মহীয়সী নারী সম্পর্কে জানান দেয়ার জন্যে বঙ্গমাতাকে নিয়ে আমাদের গবেষণা করা উচিত।